জামিনে বেরিয়ে বাদীকে হত্যার হুমকি আসামীদের

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সুলতানা জাহানকে হত্যা চেষ্টার মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে বাদীর পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়াসহ জায়গা দখল করে নেওয়ার অভিযোগে উঠেছে। হত্যার হুমকি পেয়ে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সুলতানা জাহান উপজেলার মান্দারকান্দি গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের স্ত্রী।

সুলতানা জাহানের অভিযোগ, আসামীরা জামিনে এসে তার বসতঘরের সামনে নেছার উদ্দিন ও তার ছেলে গালিবসহ ৫-৭জনের একটি সন্ত্রাসী দল জোরপূর্বক টিনের বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এসময় তারা আমাদের অশ্লীল গালাগালসহ প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন।

এমন পরিস্থিতি জানিয়ে সুলতানা জাহান বলেন, যে কোনো মুহূর্তে প্রতিপক্ষ আমাদের হত্যা করতে পারে। এ ঘটনায় তিনি আজ বুধবার আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০অক্টোবর একই বাড়ির নজরুল ইসলাম, নেছার উদ্দিন, গালিব, মেওয়া, সাহেরা খাতুন ও জোবায়েরসহ ৫-৭জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সুলতানা জাহানের বসতঘরের সামনে কাঠের বেড়া দিয়ে একচালা টিনের ঘর নির্মাণ করে জায়গাটি দখলে নিতে যান। এতে সুলতানা জাহান ও তার মেয়ে তাহমিনা আক্তার বাধা দিতে গেলে দখলকারীরা তাদের মারধর করে। এসময় নজরুল ইসলামের লোহার রডের আঘাতে সুলতানা জাহানের মাথা ফেটে গিয়ে রক্তাক্ত জখম হন। পরে সুলতানা জাহানকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে গত ১২নভেম্বর সাতজনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ওইদিন রাতেই পুলিশ নজরুল ইসলাম, নেছার উদ্দিন ও গালিবকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। আদালত নেছার উদ্দিন ও গালিবকে জামিন দেন এবং নজরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে জামিন পেয়ে নেছার উদ্দিন ও গালিবসহ অপর আসামিরা মিলে গতকাল মঙলবার বিকেলে সুলতানা জাহানের বসতঘরের সামনে টিনের বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি বাদী পক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দেন তারা। এ ঘটনায় আজ বুধবার ফের আদালতে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

এদিকে ভুক্তভোগী সুলতানা জাহান অভিযোগ করে বলেন, জামিনে এসে আসামিরা আমার বসতঘরের সামনে আবারও টিনের বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছি না। পাশাপাশি প্রতিপক্ষরা আমাদের হত্যাসহ নানা ধরণের হুমকি অব্যাহত রেখেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানাধীন আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়েজ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন জামিনে আছে। যদি আসামিরা আবারও কোনো রকম কার্যকলাপ করে তাহলে এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share.