পাকুন্দিয়ায় এক গৃহবধুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম

0
আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মোছা. নাছিমা আক্তার নামের এক গৃহবধুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের সালুয়াদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চারজনকে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধুর মেয়ে মোছা. রিমা আক্তার। আহত নাছিমা আক্তার সালুয়াদী গ্রামের মো. অহিদ মিয়ার স্ত্রী। বর্তমানে তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, সালুয়াদী গ্রামের মৃত মানিক মিয়ার ছেলে শাহাব উদ্দিন (৬০), তার ছেলে বোরহান উদ্দিন (৩৫), একই গ্রামের বাছির উদ্দিনের ছেলে রনি মিয়া (২০) ও অহিদ মিয়ার ছেলে ইউসুফ (১৯)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে শাহাব উদ্দিন, বোরহান উদ্দিন, রনি ও ইউসুফসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩জন দা, ছুরা, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে নাছিমার বাড়িতে যায়। এ সময় নাছিমা বাড়িতে কাছ করছিলেন। সেখানে গিয়ে তারা নাছিমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। নাছিমা এর প্রতিবাদ করলে শাহাব উদ্দিনের হুকুমে তার ছেলে বোরহান উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে দা দিয়ে নাছিমার মাথায় কোপ দেয়। এতে নাছিমা আক্তার রক্তাক্ত জখম হয়। ইউসুফ ছুরা দিয়া তার বাম কানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। রনি লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হাড়ভাঙা জখম করে। এ সময় নাছিমা আক্তারকে রক্ষা করতে তার মেয়ে রিমা আক্তার ও ছেলে মাশরাফি এগিয়ে গেলে তাদেরকেও এলোপাথারী পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলানীলা জখম করে। এক পর্যায়ে বোরহান উদ্দিন রিমা আক্তারের পরনের কাপড় ধরে টেনে হেঁচড়ে শ্লীলতাহানী করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এ সময় রনি রিমা আক্তারের গলা থেকে ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, হামলাকারীরা তাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে ২০ হাজার টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এ সময় বোরহান উদ্দিন রিমার চাচার বসত ঘরে ঢুকে সুকেসের ড্রয়ার ভেঙে নগদ ১লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে হামলাকারীদের কবল থেকে তাদের রক্ষা করে। পরে নাছিমা আক্তার ও মাশরাফিকে অটোরিক্সায় করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। মাশরাফি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। নাছিমা আক্তার সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাছিমা আক্তার বলেন, অভিযুক্তরা খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। আমাদের নিরীহ পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতনসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। আমি এর সুবিচার চাই।

এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share.