মানুষের বিপদে ছুঁটে যান গণমূখী যুবক বাদল খন্দকার

0

খায়রুল ইসলাম, হোসেনপুরঃ
মানুষ মানুষের জন্য। সেবাই ধর্ম। এক জনের বিপদে আপদে কেউ না কেউ এগিয়ে আসতে হয়। এমনই এক চেনা ও গণমূখী সেবক ফজলুল হক বাদল খন্দকার। কিশোরগঞ্জ জেলাধীন হোসেনপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মধ্য ঢেকিয়া গ্রামের মরহুম তোরাব আলী ফকিরের পুত্র ফজলুল হক বাদল খন্দকার। এলাকার যে কোনো সমস্যা ও আপদে বিপদের খবর পেলেই তিনি মূহুর্তের মধ্যে ছুটে যান। গভীর রাতেও কোনো রোগীর খবর পেলে নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় চিকিৎসার পড়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে জটিল রোগীকে ভর্তি ও সেবা দিয়ে থাকেন। অনেক সময় অধম্য এই যুবক হাসপাতালে রোগী বহনের জন্য ট্রলি না পেলে নিজেই কাঁদে করে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।

জানা যায়, এ যাবৎকাল পর্যন্ত তিনি অসুস্থ্য রোগীর জন্য ১০২২ ফাউন্ড রক্ত যোগাড়, ৭৮২টি বিবাহ সম্পন্ন, ৬৮৪টি মুসলিম লাশের দাফন কাফন কাজে সহায়তা ও ১৪০টি হিন্দু সম্প্রদায়ের লাশ শন্মানে সমাধির কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। মহামারী করোনা কালেও তিনি রোগীর সেবা থেকে বঞ্চিত হননি। বিগত ২০২০ সালের শেষের দিকে হোসেনপুর থানা থেকে বাইক দূর্ঘটনায় নিহতের পলায়নকৃত আসামী ধরে থানাকে সহযোগিতায় করায় কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছ থেকে তিনি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেন। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলেও তিনি কখনও মানুষের নিকট হাত পেতেন না। ২০১০ সালে পৌরসভা নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ড ঢেকিয়া এলাকা থেকে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক।

বাদল খন্দকারের স্ত্রী শিল্পী আক্তার জানান, আমার স্বামী বাদল খন্দকার পারিবারিক শত সমস্যার মধ্যেও মানুষের কল্যাণে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকেন। পৌর এলাকার ঢেকিয়া গ্রামের দিপক চন্দ্র দাস জানান, সমাজে এমন বিচক্ষন মানুষের প্রয়োজন সব সময়। জানতে চাইলে সাবেক এই পৌর কাউন্সিলর বাদল খন্দকার বলেন, সমাজের অবহেলিত মানুষের দু:খ দূর্দশা লাঘবের জন্য আজীবন সেবা দিয়ে যাব।

Share.