সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে দেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ
সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে দেশে দিন দিন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে সরকারি নীতিমালার প্রয়োজন আছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি। আজ বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা অডিটরিয়মে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সামাজিক অবক্ষয় বুঝাতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, একই বাড়িতে ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া হলে সেখান থেকে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পূর্ব পাশে একপক্ষ ও পশ্চিম পাশে আরেক পক্ষ মসজিদ নির্মান করে। একই অবস্থা হিন্দু ধর্মের মধ্যে, প্রতিটি পাড়া মহল্লায় একের অধিক পূজামন্ডপ তৈরী হয়ে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়। এসব প্রতিষ্ঠান কোন নীতিমালায় করা হচ্ছে না। বর্তমান সরকার সকল ধর্মের মানুষের জন্য কাজ করছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। প্রতিটি ধর্মে কিছু খারাপ প্রকৃতির লোক আছে যারা গুজব ছড়িয়ে এদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ দেশে সকল ধর্মের নেতাদের এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, পৌর মেয়র মোঃ পারভেজ মিয়া, হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী সুব্রত পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, কিশোরগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন খানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Share.