পদত্যাগ নিয়ে যা জানালেন সাইমন সাদিক

0
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাইমন সাদিক বলেন, সাত থেকে আট মাস আগে থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যখন থেকে ভিনদেশী সিনেমা আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন থেকে আমি শিল্পী সমিতিতে নেই। গত ছয় সাত মাস যাবত আমি সমিতিতে যাই না।
প্রথম যখন চুক্তির বিষয়ে কথা হয় তখন আমার বক্তব্য ছিল ২০১৭ সালে আমরাই আন্দোলন করেছি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। এখন কেন আমাদের এইটার পক্ষে যেতে হবে। আমার তো একমাত্র পেশা অভিনয়। আমার তো দায় আছে এই সংস্কৃতির প্রতি দেশের প্রতি। উনারা আসুক নিয়ম মেনে আসুক এখন যেহেতু আমাদের ছবিই হুমকির মুখে আর তাই আমি এবিষয়ে একমত না। আমাদের শিল্পীরা আমাদের ভোটে নির্বাচিত করেছেন অনেক ভালবেসে অনেক সম্মান দিয়ে সেই জায়গাতে আসলে আমরা কি করতে পেরেছি। আর ওদের সাথে থাকতে না পারায় গত সাত-আট মাস ধরে আমি সমিতিতে তেমন যাইনি কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিনি। আমি যেটা পারি না সেখান থেকে নিরবে চলে আসি। এবং নীরবে চলে আসছিলাম কিন্তু আমার সম্ভাবনাময়ী একটি সিনেমার সঙ্গে ভিনদেশী একটা সিনেমা মুক্তি দেওয়া আমি মনে করি আমার ক্যারিয়ারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাকেও তো এই দেশে মোটামুটি কিছু মানুষ পছন্দ করেন ভালোবাসেন। “শেষ বাজি” অনেক ভালো একটা সিনেমা ছিল। আসলে হল সংখ্যা যখন কমে যায় তখন একটা সিনেমার অনেক ক্ষতি হয়। এই ক্ষতিটা আমার হয়েছে। আমি যেহেতু সংগঠনে আছি সংগঠন আমার পাশে দাঁড়ায়নি এবং এই বিষয়ে কোন মন্তব্যও করেনি। যে কারণে আমি ভাবলাম এখানে থাকার কোন প্রয়োজন আমি দেখছি না।
সাইমন সাদিক আরও বলেন, ভিনদেশী সিনেমার ব্যাপারে যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তখন ওই সভায় আমি ছিলাম এবং সবাইকে আমি বলেছিলাম ২০১৭ সালেও আমি ছিলাম না এবং শারীরিকভাবে  ও মানসিকভাবে আমি এই সিদ্ধান্তে এখনও নাই এবং কোনদিন থাকবো না। যে কারণে আমি সাহস করে চিঠিটা দিলাম। আমি আমার দেশকে ভালবাসতে চাই এবং আমার দেশের সংস্কৃতি ও মানুষের সাথে থাকতে চাই। চলচ্চিত্রবোদ্ধা ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট যারা আছেন সকলেই আমার এই বিষয়ে এপ্রোসিয়েট করেছেন। তারা বলছেন এইটা নাকি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং অনেক আগে নেওয়া দরকার ছিল। এইটা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কেন্দ্রীক কোন ইস্যু না। এটা একদমই আমার ব্যক্তিগত। এইটার সঙ্গে নির্বাচনের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
Share.