আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার মধ্য পাকুন্দিয়া গ্রামের সুরুজ ব্যাপারি বাড়ির বাসিন্দা মহি উদ্দিনের ছেলে হাসান তারেকের বিরুদ্ধে ফকির আলমগীরের সংবাদ সম্মেলনের পর মিথ্যা প্রচারণা ও সম্মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে হাসান তারেকের পরিবারের পক্ষ থেকে। ফকির আলমগীর একই বাড়ির ফকির লাল মিয়ার ছেলে।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে হাসান তারেকের পরিবারের উদ্যোগে পাকুন্দিয়া রিপোটার্স ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফকির আলমগীরকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফকির আলমগীর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাসান তারেকের চাচাত ভাই পাকুন্দিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান আল মামুন ও মো. আজহার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাসান তারেক বলেন, ফকির আলমগীর সম্পর্কে আমার চাচাত ভাই। সে একজন উশৃঙ্খল ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তার এসব কার্যকলাপে এলাকাবাসি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। হাসান তারেক বলেন, ফকির আলমগীর অষ্টম শ্রেণি পাশ না করেও নিজেকে কখনও ডাক্তার, কখনও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমাদেরসহ এলাকার সাধারণ মানুষকে হুমকি-ধমকি প্রদান করে আসছে। এমনকি আমাদের পরিবারের শিশুদেরকেও হুমকি-ধমকি প্রদান করছে। ফলে ছোট বাচ্ছারা বিদ্যালয়ে যেতে সাহস পাচ্ছে না। তারা নিরাপত্তাহীনায় ভুগছে।
সম্প্রতি আমাদের পরিবারকে হেয় করার উদ্দেশ্যে সে তার ফেইজবুক আইডি থেকে নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা পোষ্ট করে আসছে। এ বিষয়ে তাকে নিষেধ করা হলেও সে তা অব্যাহত রাখে। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের তর্কবিকর্ত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফকির আলমগীর ১৩ এপ্রিল পাকুন্দিয়া বাজারে মাসুদ মিয়ার দোকানে সংবাদ সম্মেলনের নামে আমাদের বিরুদ্ধে নানা ভাবে মিথ্যাচার করেছেন।
এ ব্যাপারে ফকির আলমগীর মুঠোফোনে বলেন, আমি তাদের ওপর চড়াও হয়নি। উল্টো আমাকে তারা মারধর করেছে এবং আমার ফামের্স ভাংচুর করে এক লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। আমি এবিষয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু (পিপিএম) বলেন, অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।