স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে যাত্রীবেশে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পাথর উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ মে) মধ্যরাতে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানার পাগাড় এলাকার ফকির মার্কেট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে করিমগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল। গ্রেপ্তার মোঃ সেলিম (৩৯) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের পাটধা কাঁঠালিয়া এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের ছেলে।
বুধবার (২৪) মে সকাল সাড়ে ১১ টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম সিদ্দিকী।
পুলিশ জানায়, রবিবার (২১ মে) রাতে নিকলী উপজেলার মজলিশপুর এলাকা থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার খয়রত এলাকায় যাওয়ার কথা বলে নিহত শরীফের অটোরিকশাটি ভাড়া নেন সেলিমসহ অজ্ঞাত আরও তিন থেকে চারজন। পরে করিমগঞ্জ উপজেলার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কের নলিন সেতুর নিকটে এসে শরীফকে জোরপূর্বক সেতুর নিচে নিয়ে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলিয়ে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়। পরে সোমবার সকালে সেতুর নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহত শরীফের পিতা মতিউর বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরেই হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার সেলিমকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
নিহতের বড় ভাই মোহন বলেন, নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় ইটভাটায় কাজ করতেন শরীফ। গত ১৫ দিন আগে বাড়িতে এসে এলাকায় অটোরিকশা চালাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর রোববার (২১ মে) দুপুরে পুরাতন একটি অটোরিকশা কিনে বিকেল পর্যন্ত মেরামত করে। সন্ধ্যার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। সোমবার সকালে নলিন সেতুর নিচে লাশ পাওয়া যায়।