বা্ংলাদেশের ক্রিকেট দলেন সেরা ওপেনার তামিম ইকবালের কতগুলো সেঞ্চুরি থাকত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন সুযোগ কেউ মিস করে।গতকালও ঐতিহাসিক টেস্টে আউট হলেন ৮২ রান করে।তবে, ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি মিস করলেও ওই ৮২ রানের ইনিংস যে কতটা জরুরি ছিল তা বোঝার জন্য ক্রিকেট বোদ্ধা হওয়ার প্রয়োজন নেই। পুরস্কারও পেয়েছেন তামিম—ম্যাচসেরার।
সোমবার তার ২৮তম জন্মদিনের আগে এর চাইতে ভালো উপহার আর কী হতে পারে?১৯৮৯ সালের ২০ মার্চ চট্টগ্রামে ইকবাল খান এবং নুসরাত ইকবালের ঘরে জন্ম হয় তামিম ইকবালের। বড় ভাই নাফীস ইকবাল একসময় জাতীয় দলের ওপেনার ছিলেন। তার ক্যারিয়ার বেশিদূর না এগোলেও তামিম ইকবাল যেন প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। তার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রিয়বন্ধু সাকিব আল হাসান। তাদের বন্ধুত্ব বেশ গভীর; দুজনই দেশের সেরা পারফর্মার।
২০০৭ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পরের বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তামিমের। ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন বিধ্বংসী ওপেনার হিসেবে।সেই ধ্বংসাত্মক ছেলেটিই আবার দলের প্রয়োজনের ধীরসুস্থে খেলতে পারে। ৪৯ টেস্টে তার রান ৩৬৭৭। গড় ৩৯.৫৩। ৮টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ২২টি হাফ সেঞ্চুরি তার। ওয়ানডেতে ৩২.৪০ গড়ে ১৬২ ম্যাচে তার রান ৫১২০। ৭টি সেঞ্চুরি আর ৩৪টি হাফ সেঞ্চুরি।আজ জন্মদিনটি কীভাবে কাটাচ্ছেন তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক তামিম? জানা গেছে, স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করতে মুম্বাইয়ে উড়ে গেছেন তামিম। তার ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে। ২৫ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে ওয়ানডে সিরিজ। এটা তার প্রিয় সংস্করণ।
বর্তমানে তিন ফরম্যাটেই যিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক তিনি। শুভ জন্মদিন তামিম ইকবাল।