নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কিশোরগঞ্জে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাংচুরকারী দুর্বৃত্ত ও মদদদাতাদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা ও সদর উপজেলা যুবলীগের নেতকর্মীরা।
আজ দুপুর ১২ টায় শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন মৃত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জনপ্রিয়তাকে এখনও কিছু মানুষ ভয় পায়। আর তাই একটি মহল সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সকল অর্জনকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে তার ম্যুরালে আঘাত করেছে। রাজনীতির শুদ্ধ পুরুষ হিসেবে খ্যাত এই মানুষটির ম্যুরাল ভাংচুরের পিছনে মদদদাতাদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, কিশোরগঞ্জের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একের পর এক চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই চক্রান্তের কারণে কিছু দিন পূর্বে জেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। নরসুন্দা নদী খননের মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জ শহরকে সুন্দর করার লক্ষ্যে সৈয়দ আশরাফ যে উদ্ধোগ নিয়েছিলেন তা আবারো অবৈধ দখলদাররা বিভিন্ন স্থাপনার মাধ্যমে পুনরায় নদী দখল করে নিচ্ছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের রাজনীতিকে যেমন অস্থিতিশীল করে তুলছে তেমনি তার সকল স্বপ্ন ধ্বংস করে তার নাম মুছে ফেলার লক্ষ্যে তার ম্যুরালে আঘাত করা হয়েছে। মুর্যাল ভাংচুরের পিছনে নেপত্্েয যারা যাছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় সর্ব্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে সৈয়দ আশরাফের স্বপ্নের উপর যারা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে তাদের উচ্ছেদ করারও জোর দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, জেলা যুব লীগের সদস্য বাসির উদ্দিন রিপন, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মিয়া, জেলা যুবলীগের সদস্য পল্লব কর, এ্যাডভোকেট স্বরমিন, যুব লীগ নেতা মাহফুজ, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, লিমন মিয়া, জেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান নয়ন, জেলা যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম সাদ্দামসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।