আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
টানা একমাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে গেলো আহত সেই অন্তঃসত্ত্বা ছাগলটি। শনিবার দিবাগত রাতে বাচ্চা প্রসব শেষে ছাগলটির মৃত্যু হয়। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে ছাগলটির মালিক ওই গ্রামের গোলাপ মিয়ার স্ত্রী রুনা আক্তার বাদী হয়ে দুইজনকে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের মৃত আবদুস ছালামের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৪০) ও তার ভাই মো. জহিরুল ইসলাম (৪৫)।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে ছাগলটিকে মাটিতে আছড়ে দিয়ে গুরুতর আহত করে নজরুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালের দিকে পাশের বাড়ির নজরুল ইসলামের উঠোনে যায় অন্তঃসত্ত্বা ছাগলটি। এ সময় নজরুল ইসলাম ছাগলটিকে দৌড়িয়ে ধরে মাথার উপর উঠিয়ে মাটিতে আছড়ে দেয়। এতে ছাগলটি গুরুতর আহত হয়। এক পর্যায়ে ছাগলটির রক্তক্ষরন হতে থাকে। ছাগলটির চিৎকারে মালিকসহ স্বজনরা ছুটে গিয়ে ছাগলটিকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে টানা একমাস ছাগলটির চিকিৎসা করানো হয়। দীর্ঘ একমাস পর শনিবার রাত ১১টার দিকে একটি মৃত ও একটি জীবিত বাচ্চা প্রসব করার পর ছাগলটি মারা যায়।
ছাগলটির মালিক রুনা আক্তার বলেন, এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে কোন সমাধান না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের কাউকে বাড়িতে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পাকুন্দিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোশারফ হোসেন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি।