আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার খামা গ্রামে আনোয়ার কামাল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ ও সাব্বির আহমেদের ৫২শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে বাদীর বিরুদ্ধে। তিনি ওই জমির ওপর দিয়ে রাতের আঁধারে একটি ইটের সলিং রাস্তা নির্মাণ করে তার বাড়িতে নিয়েছেন। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একই এলাকার মো.খুরশিদ উদ্দিনের ছেলে মো.শাহজাহান রাস্তাটি নির্মাণ করেন। এনিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশ দরবার করেও কোনো প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবারের ভাষ্যমতে, উপজেলার খামা মৌজার ৩৫৮নম্বর সিএস খতিয়ানের সাতটি দাগে মোট ছয় দশমিক ২৯একর জমি রয়েছে। ওই খতিয়ানে ১২৫৫নম্বর দাগের ৫২শতাংশ জমির পৈত্রিক সূত্রে মালিক আনোয়ার কামাল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ ও সাব্বির আহমেদ। প্রায় একশ বছর ধরে তারা ওই জমিতে ফলদ ও বনজ গাছ রোপণ করে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে ওই জমির ওপর কু-নজর আসে পাশের বাড়ির শাহজাহানের। জমিটি নিজের দাবি করে ২০১৮সালে শাহজাহান নিজে বাদী হয়ে জমির মালিকদের বিবাদী করে কিশোরগঞ্জের যুগ্ম জজ আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। আদালত উভয়পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিবাদীদের পক্ষে রায় দেন। পরে আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলও করেন বাদী শাহজাহান। উচ্চ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে একই বছরের ২৭জুলাই মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্তা বজায় রাখার জন্য পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলার জন্য আদেশ দেন। পরে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পক্ষে উপ-পরিদশক (এসআই) মো.মজিবুর রহমান মোল্লা উভয়পক্ষকে স্ব-স্ব অবস্থানে থাকার জন্য নোটিশ দেন। দীর্ঘ দুই বছর পর আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মামলার বাদী নিজেই গত মঙলবার কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে রাতের আঁধারে জোরপূর্বক ওই বিবাদমান জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে তার বাড়িতে নিয়েছেন।
জমির মালিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, শাহজাহান নিজেই আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এখন আবার তিনিই আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক রাতের আঁধারে আমাদের জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে তার বাড়িতে নিয়েছেন। আমি আদালতের ওপর শ্রদ্ধাশীল। এবিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বাদী শাহজাহান বলেন, বাড়িতে যাওয়ার জন্য আমি আমার জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেছি। তবে আমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করিনি। বাড়ি নির্মাণের মালামাল নেওয়ার জন্য অস্থায়ীভাবে রাস্তাটি নির্মাণ করেছি।
পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ হাসান সুমন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।