স্টাফ রিপোর্টারঃ
কৃষির ব্যাপারে একজন ভালো কৃষক বিজ্ঞানীর চাইতেও দক্ষ ও অভিজ্ঞতা রাখে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবদুল আউয়াল।
আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ কিরাটন মাইজপাড়া এলাকায় বিজেআরআই উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল কেনাফের বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি জনপ্রিয়করণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পাট চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে কেনাফ বীজ এইচসি-৯৫ বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
মহাপরিচালক বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার মাস শেষে তার বেতন হয়। সে বিভিন্ন দিবসে ভাতা পায়। কিন্তু একজন কৃষক ফসল ফলালে সেখান থেকে লাভের আশা করতে পারে না। কিভাবে ফসল চাষ করলে ফলন ভালো হবে তা চিন্তা করে বের করতে হয়। দেশ স্বাধীনের পরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সোনালী আঁশ পাটকে ধরে রাখতে হবে। বিভিন্ন কারণে পাটের ঐতিহ্য হারিয়ে গেলেও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আবারো করিমগঞ্জের পাট চাষীদের মাধ্যমে নেতৃত্ব দিতে চান বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, ভারত থেকে কেনাফের যে জাত আনা হয় বর্তমানে এইচসি-৯৫ জাত তার থেকে বিশ পার্সেন্ট ফলন বেশি হয়। ভারতের কেনাফ পাট পাঁচ ফুট লম্বা হলেও এইচসি-৯৫ জাত ১৫ ফুট লম্বা হয়। কৃষকদের চাহিদা মেটাতে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বীজ উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছে। এভাবে পাটের চাষ বৃদ্ধি পেতে থাকলে আবারো পাটের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
এসময় কিশোরগঞ্জ সরেজমিন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক ড. আশ্রাফুল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রঞ্জন চন্দ্র দাসসহ স্থানীয় পাট চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।