আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
পুলিশের তৎপরতার কথা উঠলেই চোখে ভাসে অপরাধী ধরা, জিডি-মামলা নেওয়া, আসামীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যস্ত থাকা- এসব দৃশ্য। কিন্তু কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সারোয়ার জাহান চালিয়েছেন ভিন্ন এক তৎপরতা। তিনি প্রতি শুক্রবার পাকুন্দিয়া থানার বড় বড় মসজিদে গিয়ে জুমার নামাযের খুৎবার আগে মাদক, জঙ্গিবাদ, যৌন হয়রানী, কিশোর গ্যাং, বাল্য বিয়ে, জরুরী সেবা-৯৯৯, সামাজিক অনুশাসন, পারিবারিক শৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে মুসল্লীদের সচেতন করছেন। এর ধারাবাহিকরায় আজ শুক্রবার উপজেলার মঠখোলা নামা বাজার জামে মসজিদে গিয়ে খুৎবার আগে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে এসব বিষয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন।
পাকুন্দিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ এ ভিন্ন তৎপরতা চালায়। ওসি মো. সারোয়ার জাহান থানা এলাকার এ পর্যন্ত ২২টি মসজিদে গিয়ে এ তৎপরতা চালিয়েছেন। আজ শুক্রবার মঠখোলা নামা বাজার মসজিদে গিয়ে খুৎবার আগে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে এ সব বিষয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন।
ওসি মো. সারোয়ার জাহান মসজিদের মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আপনাদের নিরাপত্তা ও সেবা দেওয়ার জন্য আপনাদের এলাকায় এসেছি। আপনাদের এলাকায় যদি কোন মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী পাওয়া যায় এবং কোন জুয়া খেলা হয় তাহলে আপনারা আমাকে সাথে সাথে ফোনে জানাবেন। আমি আপনার পরিচয় গোপন রেখে তাৎক্ষণিক অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেব। আপনারা সংকুচহীন ভাবে থানায় যাবেন। থানায় জিডি নিতে, অভিযোগ নিতে, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে কোন টাকা নেওয়া হয়না। যদি থানায় কেউ কোন বিষয়ে টাকা চায় তাহলে সাথে সাথে আমাকে বলবেন। আমি তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আমি যতদিন আপনাদের থানায় আছি ততদিন আমি আপনাদের নিরাপত্তা ও সেবা দিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, ওসি মো. সারোয়ার জাহান গতবছরের ৩ অক্টোবর পাকুন্দিয়া থানায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ বিভিন্ন হাট বাজারের নেতৃবৃন্দের সাথে এসব বিষয়ে সচেতনামূলক মতবিনিময় করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন।
 
					 
						
		 
				
								
										
			 
	
											 
	
											