ঔষধ বিক্রেতার ভুল পরামর্শে কৃষকের সর্বনাশ

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় কীটনাশক বিক্রেতার ভুল পরামর্শে ধান ক্ষেতে ওষুধ স্প্রে করে রহমত আলী নামের এক কৃষকের আট বিঘা জমির সব ধান চিটা হয়ে গেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব কুমারপুর গ্রামের ওই কৃষক এক আঁটি মরা ধান গাছ ও ক্ষেতে ব্যবহৃত ওষুধের খালি বোতল হাতে নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে এ অভিযোগ করেন।

কৃষক রহমত আলী জানান, রমজান মাসের প্রথম দিকে আমার ধান ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। ধান গাছে পোকা দেইখা পাকুন্দিয়া পৌর বাজারের গোপাল চন্দ্র সরকারের দোকানে গিয়া তাঁর কাছে ক্ষেতের ধান গাছের সব লক্ষন কইলাম। আমার কথা হুইন্না তিনি গ্লোবাল এগ্রোভেট লিমিটেডের সিনোটা ও সিক্সার নামের চারটি শিশি আমার হাতে ধইরা দিয়া কইল ক্ষেতে নিয়া স্প্রে কইরা দিতে। গোপাল বাবুর কথামতো হেই ওষুধ ক্ষেতে স্প্রে করার কয়েকদিন পরেই দেহি আমার আট বিঘা জমির সব ধান চিটা অইয়া গেছে। অহন আমার কি অইব ভাই। আমার তো সর্বনাশ অইয়া গেছে। আমি এর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ চাই।

পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-ই-আলম বলেন, কৃষকের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে ধান ক্ষেতে ব্যবহৃত খালি বোতলগুলো দেখেছি। কৃষক ক্ষেতে যে ওষুধগুলো ব্যবহার করেছে তা ছিল সম্পূর্ণ ভুল। ওষুধগুলো ধান ক্ষেতের মাজরা পোকার জন্য নয়। ওষুধগুলো মূলত ফল গাছে ব্যবহারের জন্য। তাই কীটনাশক বিক্রেতা গোপাল চন্দ্র সরকারকে ডেকে এনে কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে কীটনাশক বিক্রেতা গোপাল চন্দ্র সরকার বলেন, ওষুধগুলো আমি বিক্রি করিনি। আমার ছেলে বিক্রি করেছে। তবে যাই হোক, আমি ওই ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে হিসাব করে ওই কৃষককে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিব।

Share.