মিজানুর রহমানঃ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার অষ্টঘড়িয়া সি,ভি,জে,ইউ দাখিল মাদ্রাসার কমিটি গঠন নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসার সুপার ও কমিটির সভাপতির যোগসাজশে ২০২২-২৩ সালের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের অভিযোগ ওঠেছে। কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করায় মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্যদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগে জানা যায়, ২০২০ সালে বর্তমান কমিটির মোঃ ছেনু মিয়া এলাকার বিশেষ ব্যক্তির সুপারিশ অষ্টঘড়িয়া সি,ভি,জে,ইউ দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি হন। সভাপতি তার মনঃপুত সুপার নিয়োগ দিয়ে সভাপতি ও সুপার মিলে প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে।
নিয়ম অনুসারে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরির পর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলে তা শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তাদের অভিভাবকদের জানানোর কথা রয়েছে। প্রয়োজনে এলাকায় মাইকিং করার বিধান রয়েছে। কিন্তু কটিয়াদী উপজেলার অষ্টঘড়িয়া সি,ভি,জে,ইউ দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার কোনোটিই মানা হয়নি। কারণ মাদ্রাসা সুপার আব্দুল্লাহ আল বাকী তার পছন্দের মোঃ ছেনু মিয়াকে সভাপতি করার জন্য। কমিটি গঠন সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক কর্মচারী, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী কিছুই জানেন না। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী মধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে আরও কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। সেই নিয়োগ বাণিজ্যের জন্য সুপার তার পছন্দের সভাপতি নির্বাচন করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
অভিভাবক শামউদ্দিন (আঙ্গুর) জানান, আমার ছেলে জাহিদ হোসেন মাদ্রাসায় ১০ম শ্রেণির ছাত্র। গোপনে মাদ্রাসার নির্বাচন সম্পন্নের বিষয়টি জানতে পেড়ে তিনি প্রতিকার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। বর্তমান কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুল বাতেন জানান, কমিটি গঠন ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। এ বিষয়ে সভাপতি মোঃ ছেনু মিয়া ভালো বলতে পারবেন। আরেক অভিভাবক সদস্য আব্দুল হান্নান বলেন আমাদের মতো করে আমরা কমিটি করেছি আপনারা যা পারেন করেন,লিখেন এসবে বর্তমান কমিটির কিছুই হবে না।
সভাপতি ছেনু মিয়া কে খুঁজে না পেয়ে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সুপার মাওলানা আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান কমিটির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, সবকিছু সভাপতি জানে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত হোসেন খান বলেন, অষ্টঘড়িয়া সি,ভি,জে,ইউ দাখিল মাদ্রাসার কমিটির বিষয়ে কেউ আমাকে কিছু জানায়নি। অনিয়ম কিছু ঘটে থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করার জন্য উপজেলা (ভূমি) কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন পাইনি পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।