স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্ত্রী’র প্রতারণায় নিঃস্ব হয়েছেন স্বামী নবী হোসেন। এমন অভিযোগে সোমবার (২২ মে) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গৌরাঙ্গ বাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী স্বামী।
অভিযোগে নবী হোসেন বলেন, ২০০০ সালে কটিয়াদী উপজেলার অষ্টঘরিয়া গ্রামের ইসমাইলের মেয়ে রুমা আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে ২০০৮ সালে পরিবারের স্বচ্ছতা ফেরাতে দুবাই পাড়ি জমান তিনি। নবী হোসেন একই উপজেলার বৈরাগীরচর গ্রামের আঃ আউয়ালের ছেলে।
বিদেশে থাকা অবস্থায় নবী হোসেন তার উপার্জিত অর্থ পাঠাতেন ছোট বোন নিপা আক্তারের কাছে। দশ বছর বিদেশে থাকার পর ২০১৮ সালে আবারো দেশে ফিরে আসেন নবী হোসেন। এসময় বোনের পরিবর্তে ইসলামি ব্যাংক কটিয়াদী বাজার শাখায় স্ত্রী রুমা আক্তারকে নমিনী করে আবারো বিদেশে চলে যান তিনি। এতেই ঘটে বিপত্তি। উপার্জিত অর্থ ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখার জন্য বিকাশের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা স্ত্রী’র কাছে পাঠান নবী হোসেন। এসময় স্বামীর বিশ^াস অর্জনে ব্যাংক জমা রশিদের ছবি তুলে স্বামী’র ইমুতে প্রেরণ করেন স্ত্রী। পরবর্তিতে পাঁচ বছর বিদেশে থাকার পর চলতি বছরে দেশে ফিরে আসেন নবী হোসেন। দেশে ফেরার পর ব্যাংকে জমা রাখা টাকার বিষয়ে স্ত্রী’র কাছে জানতে চাইলে ঘটে বিপত্তি। স্ত্রী’র আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় ইসলামি ব্যাংক কটিয়াদী বাজার শাখায় টাকার বিষয়ে জানতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একাউন্টে টাকা নাই বলে জানিয়ে দেন। এবং ব্যাংক রশিদ, সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে বলেও জানান ব্যাংকের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয় স্ত্রী রুমা আক্তার বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে আরো ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ধার দিয়েছে বলেও জানায়। বর্তমানে এসব টাকা চাইতে যাওয়ায় স্ত্রী, মেয়ে জামাই রফিকুল ইসলাম ও নিজ সন্তান সাজিদ মোহাম্মদ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রুমা আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগযোগ করেও পাওয়া যায়নি। ব্যাংকের রশিদ, সীল ও স্বাক্ষরের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামি ব্যাংক কটিয়াদী বাজার শাখার ম্যানেজার আব্দুল ওয়াকিল সু-কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং টাকা জমাদানকারী ব্যক্তিকে ব্যাংকে যাওয়ার জন্য বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নবী হোসেনের বোন নিপা আক্তার ও ভগ্নিপতি মোঃ সেলিম মিয়া উপস্থিত ছিলেন।