করিমগঞ্জে ভুয়া দলিল নিয়ে রেজিষ্ট্রি করতে গিয়ে যুবক কারাগারে

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে জহিরুল ইসলাম ওরফে জুয়েল মুন্সি (৪৫) নামে এক যুবককে ভুয়া দলিলসহ (সৃজনকৃত) গণধোলাই দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে। তাকে জাল-জালিয়াতির মামলায় শুক্রবার সকালে থানা থেকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সে উপজেলার কদিমাইজহাটি গ্রামের মৃত আবুল হাসেম ভুঞার ছেলে।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জহিরুল ইসলাম ওরফে জুয়েল মুন্সি কিশোরগঞ্জ জেলা সদর রেজিষ্ট্রি অফিসের সিল ও সদর রেজিষ্ট্রি মহাফেজ খানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসারের স্¦াক্ষর সহ সৃজনকৃত (৫৫৩৩) নাম্বারের একটি ভুয়া সহিমহর দলিল নিয়ে করিমগঞ্জ অফিসে যায়। দলিল সম্পাদনের জন্য লেখক হাবিবুর রহমান এর কাছে গেলে দলিলটির সিল, স্বাক্ষর ও তারিখ দেখে তার সন্দেহ হয়। পরে দলিলটি নিয়ে সাব-রেজিষ্ট্রার সজল সাহার বরাবর প্রেরণ করলে দলিলটি যাচায়ের জন্য বালাম বহি ও ইনডেক্স তলব করে। পরে দেখা যায় দলিলের সবকিছু গড়মিল এবং সৃজনকৃত। এ খবর দলিল লেখকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে দলিল লেখকরা একত্রিত হয়ে জহিরুল ইসলাম ওরফে জুয়েল মুন্সিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে ওই দিন রাতে করিমগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সিরাজি বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মালা দায়ের করে। মামলা রের্কড শেষে শুক্রবার সকালে পুলিশ তাকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করে।

মামলার বাদি ও করিমগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর সিরাজি বলেন, জুয়েল মুন্সি তার ভাই-বোন ও মাকে টকারে জন্য এরাকার একটি চক্রের সাথে মিশে ভুয়া দলিল সৃজনের মাধ্যমে এর পূর্বেও আমাদের দলিল লেখকদের সাথে প্রতারণা করে একটি ভুয়া দলিল দেখিয়ে রেজিষ্ট্রি করে। পরে ওই জমির প্রকৃত মালিকেরা আমাদের চার জন দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করে।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুমিনুল ইসলাম জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুয়া দলিল সহ তাকে আটক করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা রেকর্ড শেষে শুক্রবারর সকালে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে একাধিক আদালতে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা চলমান রয়েছে।

Share.