কিশোরগঞ্জের হাওরে তিন ঘন্টার বাজারে বিক্রি হয় কোটি টাকার মাছ

0

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রতিদিন তিন ঘন্টার বাজারে মাছ বেচা-কেনা হয় কোটি টাকার! বলছি, হাওর অধ্যুষিত জেলা কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখোলা পাইকারি মাছ বাজারের কথা। পাইকারি এ বাজারে পাওয়া যায় হাওরের নদ-নদী ও মুক্ত জলাশয়ের তরতাজা সব মাছ। প্রতিবছর সুস্বাদু এই মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি চলে যায় দেশের বিভিন্ন মাছ বাজারে। এতে করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হোন এখানকার স্থানীয় মাছ বিক্রেতারা।

ভোরের এই বাজার জমে সকাল সাতটায় শেষ হয় ১০টায়। এরই মধ্যে মাছ কেনা বেচা হয় কোটি টাকার। যা ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন মাছ বাজারে নিয়ে যায় পাইকাররা। হাওরের নদ-নদী ও জলাশয়ের পানি কমে আসায় বালিখোলা এই বাজারে বেড়েছে মাছের সরবরাহ। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করছে।

১৫০ বছরের ঐতিহ্য ধনী নদীর তীরে প্রাচীন এই বাজারে রুই, কাতল, বোয়াল, আইড়, বাইম, গুলসা, চিংড়িসহ নানা প্রজাতির মিঠা পানির তাজা মাছ পাওয়া যায়। এই বাজার থেকে জেলে ও মৎস্য খামারের মালিকদের কাছ থেকে মাছ কিনছেন পাইকাররা। এরপর সেগুলো চলে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। আবার কেউ কেউ স্থানীয় এই বাজারে কাজ করার পাশাপাশি মাছ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। তবে এই বছর বেশি মাছ ধরা পড়লেও করোনার কারণে মাছের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না বলে জানান মাছ বিক্রেতারা।

বর্তমানে বালিখোলা এই মাছ বাজারে আইড় মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০টাকা, বোয়াল ৪০০টাকা, গুলশা ৩৫০টাকা, রুই ৩৫০টাকা, কাতল ৫০০টাকা, বাইম ৫০০টাকা, পাবদা ৬৫০টাকা, মাগুও ৪৫০টাকা, শিং ৫০০ টাকা, শোল ৪৫০টাকা, টেংড়া ৩৫০টাকা, চিংড়ি ৬০০টাকা, চিতল ৫৫০টাকা টাকি ২০০টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার পাল বলেন, প্রতিবছর এই জেলায় ৮২ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। যার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এই জেলার চাহিদা মিটিয়েও ১২ হাজার মেট্রিকটন মাছ দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করছে। এতে করে দেশের খাদ্য চাহিদা যেমন পূরণ হচ্ছে তেমনি অর্থনৈতিক চাকা জোরদার হচ্ছে। সরকারের গৃহিত পদক্ষেপের কারণে এই জেলায় আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র হচ্ছে। এর মাধ্যমে আড়ৎদাররা বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে বিভিন্ন বাজারে মাছ বাজারজাত করতে পারবেন।

Share.