কিশোরগঞ্জের ৬টি আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হলো ১৬ জনের, বৈধ ৩৮ জনের

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিন রোববার (০৩ ডিসেম্বর) ও শেষ দিন সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জের ৬টি আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এই ৬টি আসনে মোট ৫৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে যাচাই বাছাইকালে ১৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ও ৩৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়েছে।

সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম জানান, ছয়টি আসনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে ১২ জন, কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে ৮ জন, কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে ১০ জন, কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে ৭ জন,  কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে ৮ জন এবং কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে যাচাই বাছাইকালে ১৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ও ৩৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় নেতা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের আবুল কাশেম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ সাদী।

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনে মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়েছে ৯ জনের। তাঁরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এমপি, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ডা. মো. আব্দুল হাই, গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ভূপেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিক দোলন, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. নাছির উদ্দিন, এনপিপি প্রার্থী মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল, ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে) প্রার্থী মো. আশরাফ উদ্দিন, বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী মোবারক হোসেন এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।

কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী) আসনে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা ও সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী আশরাফ আলী এবং তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আহসান উল্লাহ।

কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী) আসনে মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়েছে ৫ জন প্রার্থীর। তাঁরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাহার আকন্দ, এনপিপি প্রার্থী আলেয়া, গণফ্রন্ট প্রার্থী মীর তৈয়ব মো. রেজাউল কবির, বিএনএফ প্রার্থী মো. বিল্লাল হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ ও তাড়াইল) আসনে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী রুবেল মিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার গোলাম কবির ভূইয়া।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ ও তাড়াইল) আসনে মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়েছে ৬ জন প্রার্থীর। তাঁরা হলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী সাংবাদিক দিলোয়ার হোসাইন ভূঁইয়া নানক, এনপিপি প্রার্থী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে) প্রার্থী ওমর ফারুক, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ মাহফুজুল হক হায়দার, মেজর (অব.) মো. নাসিমুল হক।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে ১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি হলেন, ইসলামী ঐক্যজোট- আইওজে এর প্রার্থী মাওলানা শেরজাহান মোমেন।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়েছে ৬ জন প্রার্থীর। তাঁরা হলেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আ: মজিদ, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ আবু ওয়াহাব (জাতীয় পার্টি), জয়নাল আবেদিন (এনপিপি), মো. শরীফুল আহসান (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), মো. নসিম খান (বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট)।

কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে মনোনয়নপত্র মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে ৩ জন প্রার্থীর। তাঁরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মো. সাজ্জাদ হোসেন (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), মো. রবিন মিত্রা (বাংলাদেশ সংস্কৃতিক জোট)।

কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়েছে ৫ জন প্রার্থীর। তাঁরা হলেন, মো. মাহবুবুল আলম (জাতীয় পার্টি), মো. আফজাল হোসেন (আওয়ামী লীগ), এ কে এম নাজমুল হক (জাকের পার্টি), মো. সোহরাব হোসেন (তৃণমূল বিএনপি), মো. ইমদাদুল হক (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে ২ জন প্রার্থীর। তাঁরা হলেন, মোহাম্মদ আইয়ুব হোসেন (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট) ও মো. শাহাবুদ্দীন (স্বতন্ত্র)।

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়েছে ৭ জন প্রার্থীর। তাঁরা হলেন, তারেক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (এনপিপি), নাজমুল হাসান পাপন (আওয়ামী লীগ), মো. রুবেল হোসেন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), নূরুল কাদের সোহেল (জাতীয় পার্টি), আ: হাকিম (জাকের পার্টি), মোহাম্মদ আব্দুছ ছাত্তার (স্বতন্ত্র), হেলাল উদ্দিন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)।

Share.