স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের মুকসেদপুর এলাকায় পাম ওয়েলের সঙ্গে ডালডা ও ক্ষতিকারক রং আর ফ্লেভার মিশিয়ে চুলায় জাল দিয়ে তৈরী করা হতো ‘খাঁটি গাওয়া ঘি’।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে র্যাব ও জেলা প্রশাসন যৌথ উদ্দ্যোগে অভিযানে যান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেফটেনেন্ট কমান্ডার এম শোভন খান বিএন এবং জেলা কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।
এসময় মুকসেদপুর এলাকায় ইলমা এন্ড রেদোয়ান কনজ্যুমার প্রডাক্ট নামে অনুমোদনহীন কারখানায় অভিযানে কয়েক হাজার লিটার ভেজাল ঘি তৈরির মালামাল, কেমিকেল পরীক্ষা করার ভুয়া সরঞ্জাম ও মেশিন জব্দ করা হয়। সেই সাথে কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়। এছাড়াও কারখানার মালিক মহিউদ্দিন আহমেদ ইমনকে ভোক্তা অধিকার আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেফটেনেন্ট কমান্ডার এম শোভন খান বিএন বলেন, অত্যাধুনিক মেশিনের মাধ্যমে টিনের কৌটাজাত করে দেশের নামি-দামি কোম্পানির মোড়ক লাগিয়ে কিশোরগঞ্জসহ আশপাশের জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় বাজারজাত করে আসছে অনুমোদনহীন এই কারখানার মালিক।
কারখানার মালিক মহিউদ্দিন আহমেদ ইমন জেলার নিকলী উপজেলার ধীরুয়াইল গ্রামের মকবুল আহমেদের ছেলে। কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার লতিবাবাদ মুকসেদপুরে তার বাসা রয়েছে। নিজের বাসা ছাড়াও আরেকটি বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি এই কারখানা গড়ে তুলেছেন। জব্দকৃত ভেজাল ঘি ও মালামাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।