স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে (রতন ভূঁইয়া) (৪৫) হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত আসামিকে ১ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। অনাদায়ে দুই মাসের কারাদ- প্রদান করেন। রায় ঘোষনার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও রায় ঘোষনার আগে একজন মৃত্যুবরণ করায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন, কটিয়াদী উপজেলার মধ্য ভাট্টা এলাকার মৃত সিন্দু ভূঁইয়ার ছেলে মো: ফোরকান ভূঁইয়া (৪৮), জমশেদ ভূঁইয়ার ছেলে মো: শাহেদ ভূঁইয়া (৩৪), মৃত ধলু ভূঁইয়ার ছেলে মো: এ্যাংগু ভূঁইয়া (৫৮)। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত আসামি হলেন একই এলাকার জমশেদ ভূঁইয়ার ছেলে মো: মোস্তফা ভূঁইয়া (৪৬)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১৩ সালে ২৯ আগস্ট রাত ৯টার দিকে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম ভাট্টা নতুন বাজার থেকে বাজার করে বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি ফোরকান ভূইয়া বাড়ির উত্তর পার্শ্বে পৌঁছা মাত্রই ফোরকান ভূঁইয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্র দা, লাঠি ছুরা, চাপাতি, লোহার রড নিয়ে রতনের উপর অতর্কিত হামলা করে মাথার উপরে এলোপাতারি কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। পরে রতন ভূইয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হামলার ৬ দিন পরে ৫ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়।
নিহত রতন ভূইয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার চাচতো ভাই আনার ভূইয়া ৩০ আগস্ট কটিয়াদী মডেল থানায় এ হামলার ঘটনায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে কটিয়াদী থানার তৎকালীন এসআই রাখাল দেবনাথ ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) আইনজীবী জগেশ্বর রায় এবং আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী আজিজুল হক মিন্টু।