স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঘামছে কামার, পুড়ছে লোহা, সাথে হাতুড়ি পেটার টুং টাং শব্দে তৈরি হচ্ছে ছুরি-বটি-দা-চাপাতি। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এসব তৈরিতে পুরোদমে ব্যস্ত কামারশালাগুলো। কোরবানি ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদকে ঘিরে কিশোরগঞ্জে কামারের দোকান গুলোর সামনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ নানা হাতিয়ার।
ঈদকে সামনে রেখে কামারশালাগুলোতে কোরবানির পশু জবাই ও গোস্ত কাটতে পুরোদমে চলছে হাতিয়ার তৈরির কাজ। তাদের ব্যস্ততাই বুঝা যাচ্ছে সারাবছর তেমন কাজ না থাকলেও ঈদকে ঘিরে কামারগুলোতে বেড়েছে কর্ম ব্যস্ততা, যেন দম ফেলারও সময় নেই। কঠিন ব্যস্ততার চাপে ক্লান্তিও যেন কারও কাছে ঠাই পাচ্ছে না। দিন-রাত এক করে কাজ করে যাওয়া এসব শিল্পীদের কর্মব্যস্ততা বাড়লেও লোহা, কয়লা আর লাগামহীন বাজারব্যবস্থা যেন থমকে দিয়েছে কামারশিল্পীদের জীবন। এছাড়া বর্তমান বাজারে স্টেইনলেসস্টিলের যন্ত্রপাতি থাকায় কামার শিল্পীদের তৈরী যন্ত্রপাতির ব্যবহারও কমেছে অনেক। এছাড়া গত দুইবছর করোনা আর এ বছর বন্যার কারণে ঈদকে ঘিরে তৈরী করে রাখা এসব হাতিয়ার বিক্রি করতে না পাড়ায় শঙ্কায় রয়েছে কামারশিল্পীরা।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক কামরুজ্জামান খান বলেন, জেলায় প্রায় ২ হাজার কামারশিল্পী রয়েছেন। এর মধ্যে ৭৯১ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকীদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রত্যেক্ষকে ১৮হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।