স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে আসা তরুণী ধর্ষণের এজাহার নামীয় প্রধান আসামী আজহারুল ইসলাম (২২) কে আটক করেছে র্যাব। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আজহারুল সদর উপজেলার দনাইল এলাকার আসাদ মিয়ার ছেলে।
র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার শাহরিয়ার মাহমুদ খান জানান, মাস খানেক আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নরসিংদীর এক তরুণীর সাথে আজহারুল ইসলামের পরিচয় হয় পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ০৫ এপ্রিল বিকালে ভুক্তভোগী তরুনী নরসিংদী থেকে কিশোরগঞ্জ আসলে আজহাররুল ও তার বন্ধু রাজনের সাথে দেখা হয়। সেই সুযোগে ওই তরুনীকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে। পরে আজহারুল ভুক্তভোগী তরুনীকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাতে আনুমানিক ১০ টায় সদর থানাধীন দনাইল জনৈক জামাল মিয়ার ভূট্টা ক্ষেতে নিয়ে অভিযুক্ত মোঃ আজহারুল ইসলাম ও রাজন মিয়া ভুট্টা ক্ষেতে জোরপূর্বক এশাধিকবার ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণ শেষে ০৬ এপ্রিল সকাল ৬টায় জামাল মিয়ার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়।
ঘটনার পর ০৭ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ভুক্তভোগী ওই তরুনী একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৩। মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্তরা বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় অভিযুক্তদের ধরতে র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন পারিপাশির্^কতার বিচার ও বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনা করে আসামী ধরতে জোর প্রচেষ্টা চালায় এবং গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প জানতে পারে যে, মামলার প্রধান আসামী কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া এলাকায় পালিয়ে আছে। পরে ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ শাহরিয়ার মাহমুদ খান এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে গতকাল দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করে। এবং ২নং আসামীকে ধরতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামী আজহারুলকে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
 
					 
						
		 
				
								
										
			 
	
											 
	
											