স্টাফ রিপোর্টারঃ
তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। বিশৃঙ্খলা ও কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করা হয়েছে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র। এসময় একটি কেন্দ্রে সহিংসতা ঠেকাতে ফাঁকা গুলি করেছে পুলিশ।
রোববার (২৮ নভেম্বর) জেলার তিনটি উপজেলা কিশোরগঞ্জ সদর, নিকলী ও কুলিয়ারচর উপজেলায় মোট ২৩টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি, নিকলী উপজেলার ৭টি ও কুলিয়ারচর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন।
সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লাতিবাবাদ ইউনিয়নের কাটাবাড়িয়া এ আর খান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা । এ অবস্থায় এ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের কাতিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বেশ কয়েকজন গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যকে আহত করে প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষে হামলা চালানো হয়। প্রিজাইডিং অফিসার মো. সেলিম রেজা ভোটগ্রহণ বন্ধ করে কক্ষে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য একপর্যায়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মোট ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে দুপুর ২টা ৫মিনিটে কেন্দ্রটিতে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়।
এদিকে দুপুর ২টায় সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের কলাপাড়া হাজী আব্দুল গফুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারাকে কেন্দ্র করে প্রায় ৩০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। পরে প্রিজাইডিং অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম ভূঞা বেশ কিছু ব্যালট পেপার ছিড়ে ফেলেন। এ ঘটনায় কেন্দ্রের বাহিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
মারিয়া ইউনিয়নের প্যাড়াভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা বেশ কয়েকবার সংঘর্ঘে জড়িয়ে পড়েন।
এদিকে নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপরে অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে প্রায় আধা ঘন্টা ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকে।
এছাড়া বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে ডুমরাকান্দা বাজারের কাছে কুলিয়ারচর উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কাইয়ুম প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন।
ইউপি নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত বিজিবি, র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল।