কিশোরগঞ্জে নষ্ট হয়ে গেছে জমির পাট; ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

0

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কিশোরগঞ্জে পাটের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে জেলার কৃষকরা। পাট গাছ বেড়ে না উঠে নেতিয়ে পড়া এবং পাটের সবুজ পাতা বিবর্ণ হয়ে কুকরে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে এবার ফলন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন, নিম্নমানের বীজ ব্যবহারের কারণেই কৃষকদের ফসলহানির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কেন্দ্র, কিশোরগঞ্জ এর দেয়া তথ্য মতে চলতি মৌসুমে কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৬ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ভারতের কেনাফ জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। আর একমাস পরেই কৃষকরা পাট গাছ কেটে জাগ দেয়াসহ পাট সংগ্রহের পরবর্তী কাজ শুরু করবেন।
কিন্তু ব্যাপকভাবে পাট গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সর্বত্রই বেশীর ভাগ পাট গাছই বেড়ে না উঠে নেতিয়ে পড়েছে এবং পাটের সবুজ পাতা বিবর্ণ হয়ে কুকরে গেছে। এ কারণে কাংখিত ফলনের চার ভাগের এক ভাগ পাট পাওয়া যাবে কিনা, কৃষকরা এমন আশংকাই করছেন। এর ফলে উৎপাদন খরচ উঠে না আসায় দুর্ভোগে পড়বেন কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন, বাজার থেকে কিনে আনা বীজে পাটের আবাদ করার কারণেই তারা ফলনের বিপর্যয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে তারা এখনো কৃষি বিভাগ বা সরকারের কাছ থেকে কোন সহায়তা ও পরামর্শ পাননি।

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, নিম্নমানের বীজ ব্যবহার করায় কৃষকের আবাদ করা পাটের জমিতে অজানা এই ভাইরাসের আক্রমন হয়েছে। ইতিমধ্যে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট অজানা এই ভাইরাসের কারণ সর্ম্পকে জানতে গবেষণা শুরু করেছে।

Share.