মিজানুর রহমানঃ
কিশোরগঞ্জে করোনা দুর্যোগের পর এখন ডেঙ্গুর আশঙ্কায় শঙ্কিত মানুষ। এখন থেকেই ব্যবস্থা না নিলে পরিণতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছে অনেকে। কিশোরগঞ্জে সদরে বেশিরভাগ এলাকায় নর্দমায়, নেই কোন ঢাকনা। বাসা-বাড়ি, শহরের অলিতে গলিতে জমে থাকা পানিতেও বাড়ছে মশার উপদ্রব। পলিথিন ও প্লাষ্টিকের আবর্জনা জমে মশার উৎকৃষ্ট প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে এই জায়গাগুলো।
কিশোরগঞ্জ পৌর সভা, সদর কলাপাড়া মোড়, কালিয়া চাপড়া উপশহর , পাকুন্দিয়া পৌরসভা এলাকায় বাসা বাড়িতে থাকা যাচ্ছে না মশার যন্ত্রণায়, এতে করে ডেঙ্গুর প্রভাব চরমভাবে বাড়তে পারে।
দিনের বেলায় মশার উপদ্রব কম থাকলেও সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে বাড়ে এর প্রভাব। ময়লা আবর্জনা, বাড়ির আশপাশে ব্যবহার করা প্লাস্টিকের জিনিসপত্র, ডাবের খোসায় পানি জমে থাকার কারণে মশার বংশ বিস্তার বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তা ছাড়াও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণকেও মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাধারণ মানুষ বলছেন, এখন পর্যন্ত মশা নিধনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না । মশার উপদ্রব ভীষণ হারে বেড়ে যাওয়ার ফলে ছাত্রছাত্রীরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছে না। দরিদ্র পরিবারের লোকজন সাংসারিক খরচ জোগান দিতে হিমশিম খেয়ে মশা তাড়ানোর জন্য কয়েলের পয়সা ঠিকমতো জোগান দিতে পারছে না। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।