স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থেকে ২৪ জুয়ারীকে আটক করেছে র্যাব। ২৭ নভেম্বর রাতে করিমগঞ্জ উপজেলার সাদকখালী এলাকার পরিত্যক্ত ঘরের ভিতরে জুয়া খেলার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় নগদ তিন লক্ষ চৌত্রিশ হাজার চারশত দশ টাকা, বিশটি নন পয়েন্টেড ডার্টস, দশটি কাঠের টুকরা, একটি ওয়ান টু টেন বোর্ড, একটি ওয়ান টু টেন প্যানা এবং এক বান্ডিল তাস’সহ চব্বিশজন জুয়ারীকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ থানার আঠারোবাড়ি এলাকার আঃ হামিদের ছেলে হাবিবুর রহমান (৫৫), ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া জেলার সদর থানার বাদুস্বর এলাকার শাহজাহানের ছেলে ইয়াসিন (৩৯), কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার রথখলা এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে নূরুজ্জামান (৪৫), কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার কটিয়াদী এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে সুহেল (৩২), কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার পুলেরঘাট এলাকার ওয়াসীম উদ্দিনের ছেলে আলম (৩৫), ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ থানার ইশ্বরগঞ্জ এলাকার মৃহ শাহনেওয়াজের ছেলে আলাল (৪৫), ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল এলাকার মৃত আঃ বসিরের ছেলে আবু সাঈদ (৬১), কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার বাজিতপুর এলাকার মৃত মনিন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে লিটন দাস (৪৮), ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার ধরগাও এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে মোঃ দুলাল মিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার বত্রিশ এলাকার মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৮), একই জেলার সদর থানার তারাপাশা এলাকার মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে শাহজাহান (৫০), একই জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার সিদলারপাড় এলাকার মৃত নান্নুর ছেলে আবু বকর (৫৯), বাশহাটি এলাকার আঃ রাজ্জাকের ছেলে দ্বীন ইসলাম (৩০), উত্তর পাড়া এলাকার শুক্কুর মাহমুদের ছেলে সুরুজ আলী (২৭), ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া এলাকার মৃত আঃ মান্নানের ছেলে নিজামউদ্দিন (৪৮), একই জেলার নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল এলাকার মৃত সাহেদের ছেলে শহিদুল্লাহ (৬০), নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গন্দা এলাকার মৃত বাহার উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২), কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার হোসেনপুর এলাকার আফছার উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০), একই জেলার সদর উপজেলার তারাপাশা এলাকার মৃত আবু বকরের ছেলে আতিক (৪৭), ধনাইল এলাকার মৃত ইব্রাহিমের ছেলে আবু সাঈদ (৪৫), মহিনন্দ এলাকার রুকনউদ্দিনের ছেলে জুলহাস (৫০), করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াকান্দি এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে গোলাম মিয়া (৫০), সদর উপজেলার জেলা স্মরণী এলাকার মৃত প্রমোধের ছেলে প্রিয়তোষ সরকার (৪৬), ধনাইল এলাকার গোপাল পালের ছেলে সুমন পাল (৩৮)।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার এম শোভন খান এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অর্ণব দত্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন।
র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার এম শোভন খান জানান, গেফতাকৃত জুয়ারীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলে আসছিল বলে স্বীকার করেছে।
তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অর্ণব দত্ত, ০১নং হতে ২২নং আসামীকে বিশ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ২৩নং হতে ২৪নং আসামীকে একশত টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।