নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পলি পড়ে নদীর গতি পথ পরিবর্তন হওয়ায় বোরো চাষে বিপাকে পড়েছিলেন ২০ হাজার হেক্টর জমির ধান চাষিরা। সেই খবর আসে স্থানীয় সংসদের কাছে। খবর শুনেই তিনি ছুটে যান হাওরে। কৃষকদের বাঁচাতে নিজ অর্থ দিয়ে খাল খনন করে জমিতে সেচের ব্যবস্থা করেন। বলছিলাম কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের কথা। যিনি দুই বছর যাবত নিজ উদ্যোগে এভাবেই চাষিদের সেচের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামের পূর্ব অষ্টগ্রাম ইকরদিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মেঘনা নদী। সেই নদীতে পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় গত দুই বছরে নদীর শাখা বিল মাকশা নদীর গতি পথও পরিবর্তন হয়েছে। আর এ কারণে সেচের অভাবে পতিত পড়তে যাচ্ছিল নদীর তীরে অবস্থিত বড় হাওরের ২০ হাজার হেক্টর বোরো আবাদি জমি। খবর শুনেই ছুটে আসেন স্থানীয় সংসদ, নিজ অর্থায়নে ভরাট হয়ে যাওয়া বিলমাকশা নদীতে দেড় কিলোমিটার খাল খনন করেন। এরপর সেচের ব্যবস্থা হওয়ায় চাষ হয়েছে বড় হাওরের পতিত পড়তে যাওয়া জমিগুলো। এই হাওরে কৃষকেরা বোরো ধান চাষে সেচ হিসেবে ব্যবহার করতো বিলমাকশা নদীর পানি। নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন কৃষকেরা। বোরো ধান চাষের সময় শুরু হলেও পানি পাচ্ছিলেন না তারা।
উপজেলার ৮নং পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কাছেদ মিয়া বলেন, কৃষকদের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনে এলাকায় আসেন এমপি। পড়ে পরিদর্শন করে আমাকে নির্দেশ দেন খনন করার। নিজের অর্থায়নে নদীর দেড় কিলোমিটার খনন করা হলে কৃষকরা সেচ দিয়ে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করেন। হাওরের কৃষকদের একমাত্রা ফসল বোরো ধান বাঁচাতে কৃষকদের বাঁচাতে সাময়িক সমাধান নয় স্থায়ী সমাধানের জন্য নদী খননের দাবি জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান বলেন, কৃষকদের চাষের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে বিলমাকশা নদী খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে খুব দ্রুত নদী খনন করা হবে। নদীটি প্রায় ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে।