কিশোরগঞ্জে ২৬টির বিপরীতে চলছে ৮টি সিনেমা হল

0

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
একসময়কার বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিল সিনেমা হল। কালের বিবর্তন আর আকাশ সংস্কৃতির দাপটে বিনোদনের এই মাধ্যমটি প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। রঙিন সেই দুনিয়ার আকাশে এখন শুধু সাদা কালো মেঘ। সারাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জেও হারাধনের দশটি ছেলে’র গল্পের মতো একে একে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রেক্ষাগৃহ গুলো। বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলের সামনে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। যে কয়টা চলছে তাও ধুকে ধুকে। এ যেন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার মতো। সেই দিনগুলো ফিরে না আনতে না পারলেও এই বিনোদন মাধ্যমটিকে বাঁচিয়ে রাখার দাবি বিনোদন প্রেমীদের।

সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে হলের ভেতরে থাকা চেয়ারসহ সকল যন্ত্রপাতি। এই জেলায় ২৬টি সিনেমা হলের বিপরিতে এখন চালু ৮টি। বিনোদন প্রেমীরা বলছেন, আশির দশকে ঘাটের কুলি থেকে অফিসের বড় কর্মকর্তা সকলেই অপেক্ষায় থাকতেন নতুন সিনেমার জন্য। রাস্তার পাশে থাকত সিনেমার রঙিন পোস্টার। ভ্যান গাড়ী ও ট্যাম্পু গাড়িতে চলতো ছবির মাইকিং। এরপরই নব্বই দশকে সিনেমা হলে নেমে আসে আঁধার, নিম্নমানের কাহিনী নির্ভর সস্তা ও অশ্লীলতা নির্ভর সিনেমা।

বর্তমানে প্রায় সব সিনেমার একই কাহিনী, আকাশ সংস্কৃতির দাপট ছাড়াও প্রতিদিন টিভি চ্যানেলগুলোতে গড়ে ১৫-২০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন হয়ে থাকে। আর এ কারণেই হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় দর্শক। এখন আর আগের মতো প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারে হলে ছবির দেখার জন্য আগ্রহ ভরে অপেক্ষায় থাকে না বিনোদন প্রেমীরা। এতে করে বিনোদন প্রেমীরা যেমন বিনোদন থেকে বঞ্চিত তেমনি এর সাথে জড়িয়ে থাকা কর্মচারি ও হলের সামনে গড়ে উঠা ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্থ। এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তি প্রজন্ম হয়তো জানতেও পারবে না সিনেমা হল নামে এই দেশে একটা বিনোদন মাধ্যম ছিল। তাই হল গুলোকে আবারও চালু করার দাবি বিনোদন প্রেমীদের।

জেলায় প্রথমে ২৬টি সিনেমা হল চালু হয়। জেলা তথ্য অফিসের সূত্র মতে ২০১৯ সালে ১৩টি সিনেমা হলের অস্থিত পাওয়া গেলেও এসময় আরো ৫টি সিনেমা হয় বন্ধ হয়ে যায়।

Share.