কিশোরগঞ্জে ৪৩৫ মন্ডপে হবে দূর্গা পূঁজা, নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ
আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপুজা। এ লক্ষে কিশোরগঞ্জে মন্ডপে মন্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিদিন একটু একটু করে প্রতিমার অবয়ব ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। দিন রাত এক করে খড় দিয়ে প্রতিমা তৈরির শেষে শিল্পীর সুনিপুন হাতের ছোঁয়ায় কৃত্রিম জীবন পাচ্ছেন দূর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, মহিষাসুর ও শিব মূর্তি। কোনো কোনো মূর্তিতে দেওয়া হচ্ছে রং, পরানো হচ্ছে শাড়ি, হাতের বালাসহ অন্যান্য গয়না। অন্য বছরের তুলনায় এবার প্রতিমার চাহিদা থাকলেও প্রতিমা তৈরীর সরঞ্জমাদির দাম বেশি থাকায় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন তারা। তবে বংশগত পেশার প্রতি সম্মান জানিয়েই আনন্দের সাথে প্রতিমা তৈরী করে যান এখানকার শিল্পীরা।

  • শিল্পীরা জানান, নতুন প্রজন্ম এ পেশায় আসতে অনিহা প্রকাশ করছে। তার করণ বর্তমানে প্রতিমা তৈরী করতে যে পরিমান খরচ হয় সে খরচ পুষিয়ে উঠতে পারছেন না তারা। পূঁজা শুরুর দুই থেকে তিনমাস আগে থেকেই প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু করতে হয়। প্রতিমা তৈরীর জন্য খড়, বাঁশ, সুতা ও মাটির প্রয়োজন। তবে বেশি প্রয়োজন এটেল মাটির এবং এই মাটি পাওয়াটা বর্তমানে কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। তারপরও যথাসময়ে প্রত্যেকটি মন্দিরে প্রতিমার কাজ শেষ হবে বলে জানান প্রতিমা শিল্পীরা।

  • পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, পূজা উদযাপন নির্বিঘœ করতে তিন ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি হাওর এলাকায় নৌ পুলিশের সাথে সমন্নয়ের মাধ্যমে নৌ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিন ধাপে নিরাপত্তার মধ্যে প্রতিমা তৈরী, পূঁজা চলাকালিন নিরাপত্তা ও শেষে প্রতিমা বিসর্জনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার ১৩৩ টি বিট পুলিশিংয়ের প্রধান ও সদস্যরা প্রতিটি পূঁজা মন্ডপের পরিচালনা পর্ষদের সাথে কথা বলা নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছেন। সেই সাথে পূঁজা চলাকালিন যে কোন দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হবে।

  • জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, জেলায় মোট ৪৩৫টি মন্ডপে পূঁজা উদযাপন করা হবে। এর মধ্যে ৪২৩টি সার্বজনীন ও ১২টি মন্ডপে ব্যক্তিগত পূঁজা অনুষ্ঠিত হবে। পূঁজা ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। পূঁজা মন্ডপে প্রবেশের জন্য পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা আলাদা প্রবেশ পথ থাকবে।

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্জের মধ্যদিয়ে ৬ষ্ঠী পূঁজার মাধ্যমে সারাদেশে শুরু হবে শারদীয় দূর্গা পূঁজা। বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে “ধর্ম যার যার- উৎসব সবার” এই স্লোগানে প্রতি বছরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ শারদীয় দূর্গাপূজাকে স্বার্থক করতে প্রহর গুনছে। এবার মা দূর্গা গজে আগমন ও নৌকায় গমন করবেন।

Share.