কিশোরগঞ্জ আসছেন প্রধানমন্ত্রী

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধনের পাশাপাশি হাওরের উন্নয়ন কর্মকা- স্বচক্ষে দেখার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর মিঠামইন সফর। দলীয় সভানেত্রীর এ সফরকে কেন্দ্র করে হাওরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

জানা যায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস ক্যান্টনম্যান্ট উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন শেষে মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ-এর বাড়িতে দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষে বিকেলে মিঠামইন হেলিপ্যাড মাঠে জনসভায় যোগদান করার কথা রয়েছে। জনসভা শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে মিঠামইন ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে নিজ বাড়িতে অভ্যর্থনা জানাতে আগের দিন২৭ ফেব্রুয়ারি মিঠামইন যাবেন রাষ্ট্রপতি।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে আনন্দে ভাসছে হাওরের মানুষ। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হাওরের মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছেন। তার কাছে হাওরের মানুষ ঋণী। আর কিছু চাওয়ার নাই। এখন হাওরের মানুষ শুধু প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখতে চাই। এর আগে ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী একবার হাওরে এসেছিলেন। তখনকার হাওর আর এখনের হাওরের মধ্যে আকাশ-জমিন পার্থক্য। প্রধানমন্ত্রীর কৃপায় হাওরের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। সেই পরিবর্তনটা প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখানোর জন্য হাওরবাসীর স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের আমলে হাওরের মানুষ সুখে আছে। কিশোরগঞ্জের হাওরের মানুষের আর কিছু চাওয়ার নাই তারা সব পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফর আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। হাওরের উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরার জন্য জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দেওয়ার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুব লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

Share.