স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া প্রায় ৬৬ লাখ টাকার অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশসহ তিন চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার (৩০ জুলাই) বেলা এগারোটার দিকে রাজধানী ঢাকার মিরপুর ও পশ্চিম আঁগারগাও থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজধানী ঢাকার কাফরুল এলাকার আঃ গফুরের ছেলে আরিফুর রহমান (৩৫), কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার পাইকশা গ্রামের আঃ রশিদের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩১) ও সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার ধুলাউরি গ্রামের মৃত আহাম্মেদ আলীর ছেলে এফ এম রেজাউল করিম (৬০)। তাঁরা সবাই ঢাকায় বসবাস করেন।
কিশোরগঞ্জ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুহাম্মদ ফরহাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছরের গত ১২ মে সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের কিশোরগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের পয়ষট্টি লাখ তিরাশি হাজার দুইশত পঞ্চাশ টাকার চক্ষু পরীক্ষা ও ট্রিটমেন্টের মেশিনসহ সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি হয়। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় ১৩ মে কিশোরগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের প্রশাসক মাহসুরা খন্দকার বাদী হয়ে একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। পরে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক রোকনুজ্জামান ১৭ মে থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত মামলাটি তদন্ত করেন। গত ২৫ জুন পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে মামলাটির তদন্তভার পায় কিশোরগঞ্জ সিআইডি। তদন্তভার পাবার পর অল্প সময়ের মধ্যে চুরির সাথে জড়িতদের সনাক্ত ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় কিশোরগঞ্জ সিআইডি। চক্ষু হাসপাতালের চুরির ঘটনাটি আমরা খুবই গুরুত্বের সাথে তদন্ত করেছি। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এ চুরির সাথে জড়িত অন্য আসামিদেরও সনাক্ত করেছি আমরা। খুব দ্রুতই তাদেরও গ্রেপ্তার করে এ মামলার পূর্ণাঙ্গ একটা তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পারবো।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা যন্ত্রাংশগুলো চুরির সাথে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। এই অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশগুলো তাঁরা অন্য কোথাও বিক্রি করার চেষ্টা করছিল। আরও তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। আজ সোমবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।