কিশোরগঞ্জ পৌরসভার বকেয়া সাত লাখ টাকা, বন্ধ জন্ম নিবন্ধন সার্ভার

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ
জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন ফি বাবদ প্রায় ৭ লাখ টাকার বিল বকেয়া থাকায় কিশোরগঞ্জ পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন সার্ভার এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। সার্ভার বন্ধ থাকার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী। এতে করে নতুন করে জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, গত ২ মাস যাবত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন ফি জমা নেয়া হচ্ছে। এর আগে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কোন নিয়ম না থাকায় পৌর কর্তৃপক্ষ নগদ টাকা গ্রহণের মাধ্যমে সেবা প্রদান করেছে। সে সময় নিবন্ধন ও সংশোধনের ফি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছেই জমা থাকতো। সেই ফি বাবদ সরকারের বকেয়া রয়েছে প্রায় ৭ লাখ টাকা। সেই টাকা পরিশোধ না করায় সার্ভার বন্ধ রয়েছে।

পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নগুয়া এলাকার এম এ আজিজ বলেন, জুন মাসের ২১ তারিখ তার মেয়ের জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের ফি প্রদান করেন। কিন্তু পৌরসভার সার্ভার বন্ধ থাকায় তিনি জন্ম নিবন্ধন এখনো পাননি। আর সে কারণে পাসপোর্ট করতে না পারায় দেশের বাহিরে যেতে পারছেন না। একই অভিযোগ ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহানা আক্তারের, তিনি বলেন তার ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম তাকরিমের জন্ম নিবন্ধনে মায়ের নাম ভুল আর সে ভুল সংশোধনের জন্য পৌরসভায় যাওয়ার পর জানতে পারেন সার্ভার বন্ধ রয়েছে।

পৌরসভার কম্পিউটার অপারেটর জান্নাতুল লুবা বলেন, প্রতিদিন গড়ে জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধনের ৫০ থেকে ৬০ টি আবেদন জমা পড়ে। ১১ জুন সার্ভার বন্ধ থাকার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪০০টির মতো আবেদন জমা পড়েছে। বন্ধ থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ পারভেজ মিয়া বলেন, বিল বকেয়া নয় মূলত সার্ভার সমস্যা থাকায় জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া দায়িত্বরত কর্মকর্তা মদিনা আক্তার হজে¦র জন্য দেশের বাহিরে থাকায় কার্যক্রম সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, গত ২ মাস যাবত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরাসরি জন্ম নিবন্ধনের ফি জমা দিচ্ছেন। এর আগে পৌরসভার কাছে নগদ টাকা প্রদানের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের ফি জমা দেওয়া হতো। সে সময়ের সরকারের বকেয়ার সাত লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। দায়িত্বরত কর্মকর্তা মদিনা আক্তার হজে¦র কারণে দেশের বাহিরে থাকায় জন্ম নিবন্ধনের নতুন আইডি খুলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেওয়ার সময় বকেয়া থাকার বিষয়টি সামনে আসে। যদিও বকেয়ার বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আগে থেকেই অবহিত ছিল। বকেয়া থাকায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নতুন আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে সার্ভার বন্ধ রয়েছে। নতুন করে আইডি খুলতে গেলে পৌরসভাকে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হবে। অন্যতায় হজ¦ থেকে দায়িত্বরত কর্মকর্তা মদিনা আক্তার দেশে ফিরে নিজ কর্মস্থলে যোগদান করার আগ পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

Share.