স্টাফ রিপোর্টারঃ
গণতান্ত্রিক চর্চার অন্যতম উদাহারণ হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র নির্বাচন। দীর্ঘদিন পর ভোটের মাধ্যমে পুনরায় সভাপতি পদে শরীফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নির্বাচন কমিশনার মোঃ মিজানুর রহমান এই ফলাফল ঘোষনা করেন। পরে দলের সাংগঠনিক ভাবে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করে দ্রুত পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করার আহ্বান জানান। এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের সেই কমিটিতে মূল্যায়ন করার কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার জানান, সভাপতি পদে আনারস প্রতীক নিয়ে মোঃ শরীফুল আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৫২২ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল হোসাইন ছাতা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯৭ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে রিক্সা প্রতীক নিয়ে মাজহারুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ১৫৯ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬১১ ভোট। নির্বাচনে সভাপতি পদে ২ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
জানা যায়, শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে অস্থায়ী ভোট কক্ষ তৈরী করে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ১০টায়। এরপর চলে ভোট গণনা কার্যক্রম। গণনা শেষে রাত প্রায় ৪টায় ফলাফল ঘোষনা করা হয়। মোট ভোটার ছিলেন ২ হাজর ৯০ জন।
এর আগে শনিবার দিনব্যাপী কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন। দীর্ঘ নয় বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধক হিসেবে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ছিল দীর্ঘ ১৭ বছর যেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের লড়াই সংগ্রাম ছিল সেই লড়াই সংগ্রামের প্রতিফলন হিসেবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতা নির্বাচিত করা। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি তৃণমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন ও তাদের আশা আকাঙ্খা পূরণের জন্য ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের আয়োজন করে বিএনপি। গঠন করা হয় সাত সদস্যের নির্বাচন কমিশন।
বিজয়ী হওয়ার পর শরীফুল আলম বলেন, এ বিজয় ব্যক্তিগত নয়, এটি কিশোরগঞ্জ বিএনপি’র ত্যাগী কর্মীদের বিজয়। আমাদের লক্ষ্য হবে দলের ঐক্য ধরে রাখা। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম প্রতিশ্রুতি দেন, সংগঠনের ভেতর ত্যাগী নতুন কর্মীদের যুক্ত করে দলকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
ভোট শেষে ঘোষিত ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ কর্মীরা। তাদের ভাষ্য- এবার সত্যিকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব এসেছে। অনেকের আশা, নতুন নেতৃত্ব দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে ভবিষ্যৎ আন্দোলন ও নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।