স্টাফ রিপোর্টারঃ
আগামীকাল ২৮ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ সদরের ১১টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে বহিরাগত ও সন্ত্রাসীদের আনাগোনো বেড়েছে। স্থানীয় ভোটাররা কিশোরগঞ্জ সদরের ১১১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪ টি কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন। এসব কেন্দ্রে সহিংসার আশঙ্কার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সদরের চৌদ্দশত ইউনিয়নের মুদুরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রটি ইতিপূর্বে ৫বার স্থানীয় প্রভাবশালী প্রার্থী দখল করে নেয়ার নজির রয়েছে। এ ছাড়া এ ইউনিয়নের চারুয়াকন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটিও ঝুঁকিপূর্ণ বলে সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন।
এছাড়া অধিক ঝুঁকিপুর্ণ কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নে সেহড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যশোদল ইউনিয়নের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যশোদল উচ্চ বিদ্যালয়। দানাপাটুলি ইউনিয়নের রহিমপুর মক্তব কেন্দ্র ও মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মহিনন্দ ইউনিয়নের চংশোলাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলাপাড়া হাজী আ. গফুর দাখিল মাদ্রাসা। বৌলাই ইউনিয়নে বিলবুরুল্লা আর্দশ দাখিল মাদ্রাসা ও পাটধা উচ্চ বিদ্যালয়। রশিদাবাদ ইউনিয়নে বেরুয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লতিবপুর ইউনিয়নে শ্রীমন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ব্রাম্মনকুচুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব কেন্দ্র স্থানীয়রা সন্ত্রাস সৃষ্ঠি করে ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে ভোট কেন্দ্র দখল করে জোরপুর্বক সীল মারার ঘটনা ঘটতে পারে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম জানান, তৃতীয় ধাপে নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটাররা যাতে নিরাপদে ভোট দিতে পারে সে জন্যে পর্যাপ্ত বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে বলে তিনি জানান।