স্টাফ রিপোর্টারঃ
অফিস আছে, নেই কার্যক্রম। নষ্ট হচ্ছে অফিসে থাকা দামী দামী সকল আসবাবপত্র। জনবল সংকটের কারণে অফিসের কোয়ার্টার এখন হাঁস, মুরগী ও গরু’র খামার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ভেঙ্গে পড়ছে দরজা-জানালা ও টিনের চাল। কিশোরঞ্জ হাওর উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভেতরে ঢুকলে এমন দৃশ্যই চোখে পড়বে। কতটা অবহেলিত অবস্থায় আঞ্চলিক হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের এই অফিসটি।
শহরের পূর্ব তারাপাশা এলাকায় অবস্থিত অফিসটি ২০০০ সালে উদ্বোধনের কয়েক বছর পর থেকেই এই বেহাল দশা। ৬৫ শতাংশ জায়গার উপর অবস্থিত অফিসটিতে ৮টি অফিস কক্ষ ও কর্মকর্তাদের জন্য ৬টি কোর্য়াটার রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটের কারণে জরাজীর্ণ অবস্থায় অফিসের ভেতরে নষ্ট হচ্ছে বৈদ্যুতিক ফ্যান, লাইট ও দামী দামী আসবাবপত্র। স্থায়ীভাবে ১৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারির বিপরীতে অস্থায়ী নিয়োগের ভিত্তিতে একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও একজন নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছে। অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাও আসেন কয়েক মাস পর পর। জনবল সংকট থাকায় কোয়ার্টার গুলোতে হাঁস, মুরগী ও গরু লালন পালন করছে কর্মরত কর্মচারীরা। ভেঙ্গে পড়ছে দরজা-জানালা ও টিনের চালা। কার্যক্রম গতিশীল করতে জনবল নিয়োগের দাবি অফিসের কর্মচারীদের।
এ বিষয়ে কথা বলতে অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পরিকল্পনা আইসিটি ও সিনিয়র সহকারী সচিব খায়রুল আলম সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে কথা না শুনেই তথ্য অধিকার আইনের দোহাই দিয়ে ফোন রেখে দেন।