স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জ করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরঙ্গল ইউনিয়নের পিটুয়া গ্রামের কৃষক মো: মাসুম মিয়া এই গরুটির মালিক। গরুটি দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারাও। মালিক ৩০ মণ ওজনের এই গরুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ১২ লাখ টাকা। অল্প বয়সেই দেখতে নাদুসনুদুস হয়ে যাওয়ায় মালিক আদর করে এটির নাম রেখেছেন ‘কিশোর’।
আসন্ন কোরবানির হাটে বিক্রি করার জন্য কৃষক মাসুম মিয়া অতি যতেœ কিশোরকে বড় করে তুলেছেন। ফ্রিজিয়ান জাতের ৩০ মাস বয়সী এই গরুটকে এখন প্রতিদিন ২৪ থেকে ২৭ কেজি করে খাবার দিতে হচ্ছে। ‘কিশোরের খাবারের তালিকায় রয়েছে নিজস্ব জমির কাঁচা ঘাস, শুকনো খড়, গমের ভুষি, খেসারির ভুষি, ভুট্টাভাঙা ও কলা।
পিটুয়া গ্রামের কৃষক মাসুম মিয়া জানান, যতেœ বড় হওয়া কিশোর তার ঘরের পালিত গাভীর থেকে জন্ম নিয়েছে। প্রয়োজন মতো খাবার ও পরিচর্যায় ৩০ মাসে কিশোরের ওজন এখন ১২শ কেজিতে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই গরুটির ওজন এখন এক থেকে দেড় কেজি করে বাড়ছে বলে জানান মাসুম মিয়া।
আগামী কোরবানি ঈদের জন্য আরো দেশী চারটি গরু লালন পালন করছেন। এবার এই প্রথম বড় জাতের গরু হিসেবে কিশোরকে মোটাতাজা করেছেন তিনি। আদরের গরুটিকে লালন পালনে কৃষক কোনো ধরণের হরমোন বা স্টেরয়েড ব্যবহার করেননি। গরুটি দেখতে কিশোরদের মতই লাবণ্যময়। কিশোরকে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী কৃষক মাসুম মিয়া। গরুটি কিনতে চাইলে তার ০১৭৩৬৫০৭৮২৩-০১৯১১০৭৬৬৪৬ নাম্বরে যোগাযোগের জন্য ক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ রাখেন তিনি।