স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিএনপি জামায়াতের ডাকা তিনদিনের প্রথম দিনে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দুটি স্থানে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দুই জন নিহতের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে ও আজ বুধবার সকালে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ বাদি হয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলমসহ ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৬০০ জনকে আসামি করা হয় এসব মামলায়। মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে আসামি করা হয়।
কুলিয়ারচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফর রহমান জানান, কুলিয়ারচর থানার উপ-পরিদর্শক তারেক পারভেজ বাদি হয়ে দুইট এবং বাজরা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় উপ-পরিদর্শক নূরে আলম বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন।
কুলিয়ারচর থানার ওসি মোঃ গোলাম মোস্তফা জানান, ছয়সুতি এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা, ভাংচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে এসআই তারেক পারভেজ বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় হাজার লোককে আসামি করা হয়। এ ছাড়া উপজেলার বাজরা এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা, জ্বালাও-পোড়াওসহ সহিংসতার ঘটনায় এসআই নূরে আলম বাদী হয়ে ৪১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ শ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে কুলিয়ারচরের ছয়সুতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ চলাকালে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালালে ছয়সুতি ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি বিল্লাল মিয়া(৩২) ও ছাত্রদলের সহসভাপতি রেফায়েত উল্লাহ (২০) মারা যান। এ ঘটনায় ১৬ পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। এদিকে, দলের দুই নেতা নিহতের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জ জেলায় বুধবার (০১ নভেম্বর) অর্ধদিবস হরতাল পালনের পালন করছে জেলা বিএনপি।