আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
খাবারের খোঁজে ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত একটি বানর পাকুন্দিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে খাবারের খোঁজে বানরটি ঘুরে বেড়াচ্ছে। একদিকে ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত অপরদিকে শিশু-কিশোরদের তা-বে বিব্রত বানরটি কোথাও নির্দিষ্টভাবে থাকতে পারছেনা। তবে অনেকেই বানরটিকে দেখে খাবারও দিচ্ছে এবং সে খাবার লুফে নিয়ে ভয়ে ভয়ে খাচ্ছে। অনেকে বলছেন, খেতে না পেয়ে ক্ষুধার্ত বানরটি শুকিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু বানরটিকে রক্ষা করতে এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বন বিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, গত ৭-৮মাস ধরে বানরটিকে পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। বানরটি খাবারের খোঁজে পৌর সদরের হাপানিয়া, চরলক্ষীয়া, চরপাকুন্দিয়া, মধ্য পাকুন্দিয়া, বীরপাকুন্দিয়া ও পৌর বাজারের অলি-গলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ক্ষুধার জ¦ালায় খাবারের খোঁজে বানরটি কোনো এলাকায় গেলেও উৎসুক মানুষের ভীড়ে ভিত হয়ে অন্য এলাকায় চলে যাচ্ছে। তবে অনেকেই আবার বানরটিকে কলা, বিস্কুক ও রুটিসহ বিভিন্ন ফলমূল কিনে খেতে দিচ্ছে। খাবার পেয়ে বানরটি দ্রুত তা খেয়ে নিচ্ছে। কিন্তু বানরটির যে পরিমাণ খাবার খাওয়ার প্রয়োজন, সে পরিমাণ খাবার না পাওয়ায় বানরটি শুকিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
উপজেলার আঙিয়াদী গ্রামের ইলেকট্রিশিয়ান মো.আসাদুজ্জামান বলেন, ঠিকমতো খাবার না পেয়ে বানরটি শুকিয়ে দুর্বল হয়ে গেছে। বানরটিকে দেখলে খুবই মায়া হয়। আমার চোখের সামনে যখনই পড়ে তখনই আমি বানরটিকে বিস্কুট কিনে খেতে দিই। খাবারের অভাবে বানরটি হয়তো একদিন মারা যাবে।
পাকুন্দিয়া পৌরসদর বাজারের ধোপা দিলিপ বলেন, ৭-৮মাস আগে দুটি বানর একসঙ্গে আসে। বিদ্যুৎ এর শট খেয়ে একটি বানর মারা যায়। সঙ্গী হারিয়ে শোকে বানরটি এখন শুকিয়ে গেছে। আমার ঘরের চালে বানরটি প্রায়ই আসে। তখন আমি বানরটিকে রুটি খেতে দিই। রুটি খেয়ে বানরটি চলে যায়। এভাবে আর কতদিন চলবে। পরিমাণ মতো খেতে না পেয়ে এটিও হয়তো একদিন মারা যাবে। তাই এই বানরটির জন্য একটি স্থায়ী বন্দোবস্ত করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া উপজেলা বন কর্মকর্তা আবদুল বারী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। তবে আমি ২-১দিনের মধ্যেই লোক পাঠিয়ে বানরটিকে ধরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পাঠানোর ব্যবস্থা করব।