ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ পাকুন্দিয়াবাসী

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
একদিকে ভাদ্র মাসের ভ্যাপসা গরম। জনজীবন অতিষ্ঠ। অপরদিকে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অসহনীয় যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। দিন নাই, রাত নাই। সাত থেকে আটবার বিদ্যুৎ খালি আইয়ে আর যায়। রাতে শান্তিতে একটু ঘুমাতেও পারিনা। বিদ্যুতের এই বেহাল দশা নিয়ে কিছু লেখালেখি করেন ভাই। আপনারা যদি কিছু লেখালেখি করতেন তাহলে এলাকাবাসী কিছুটা হলেও উপকৃত হতো। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং পরিস্থিতি নিয়ে এ প্রতিবেদককে উদ্দেশ্যে করে আজ মঙলবার সকালে এমন মন্তব্য করেন উপজেলার লক্ষীয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল খালেক।

আবদুল খালেক আরও বলেন, গত দেড় মাস ধরে বিদ্যুতের অবস্থা খুবই নাজুক। বিদ্যুতের এই আসা-যাওয়ার যন্ত্রণায় দিন-রাত আমাদেরকে গরমে ছটফট করে কাটাতে হচ্ছে। শুনেছি বিদ্যুতের নাকি কোনো ঘাটতি নেই। তাহলে আমাদের পাকুন্দিয়ায় এতো লোডশেডিং কেন।

পাকুন্দিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়ন রয়েছে। গ্রাহক সেবার সুবিধার্থে এ উপজেলাকে পাঁচটি ফিডারে (সঞ্চালন লাইন) ভাগ করে নিয়েছে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১। এসব সঞ্চালন লাইনের আওতায় ৭৫হাজার আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ছোট ও মাঝারী ধরণের শিল্প কারখানা। রয়েছে শতাধিক পোল্ট্রি ফার্ম। অর্ধ-শত ক্লিনিক ও প্যাথলজি। একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সেবাধর্মী নানা প্রতিষ্ঠান। পাকুন্দিয়া পৌরসদরে লোডশেডিং পরিস্থিতি কিছুটা কম হলেও উপজেলার নয়টি ইউনিয়নসহ পাড়া-মহল্লায় লোডশেডিং পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত প্রায় দেড় মাস ধরে প্রতিদিনই এসব এলাকায় কমপক্ষে সাত থেকে আটবার করে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে। ২৪ঘন্টার মধ্যে অর্ধেক সময় উপজেলাবাসীকে বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে।

মঙলবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছেনা। ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংস পর্যন্ত নষ্ট হচ্ছে। দিনে যেমন তেমন রাতে গরমের কারণে ঘুমানো পর্যন্ত যাচ্ছেনা। বিদ্যুতের নিয়মিত লোডশেডিং এখন যেন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।

পাকুন্দিয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো.শহীদ আলম বলেন, জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলমান থাকায় শাট-ডাউন জনিত কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। তাই লোডশেডিং হচ্ছে। তবে ২-৩দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Share.