আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
প্রচন্ড এই গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বাসিন্দারা। বিশেষ করে শিশু,বৃদ্ধ, রোজাদার ও পোল্ট্রি খামারিরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা সন্তোষজনক থাকলেও পাকুন্দিয়া উপজেলায় চলছে সীমাহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ঘন ঘন লোডশেডিং। রমজানের শুরু থেকেই এ উপজেলার পুরো এলাকা জুড়েই দিন- রাত বিদ্যুতের আসা-যাওয়া চলছে। প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০-১২ বার করে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন ভুক্ত ভোগীরা।
উপজেলার মঙ্গলবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, একদিকে প্রচন্ড গরম অন্যদিকে রমজান মাস। এ সময়ে বিদ্যুতের এ ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকবাসী। বিশেষ করে ইফতার ও সাহরীর সময় বিদ্যুৎ থাকেনা। তারাবীর নামাযের সময়েও একই অবস্থা। তিনি বলেন, এ গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় বেশী কষ্ঠ পাচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ রোজাদাররা।
উপজেলার লক্ষীয়া গ্রামের পোল্ট্রি খামারি আব্দুর রশীদ বলেন, এ উপজেলায় ৭-৮শ পোল্ট্রি খামার রয়েছে। সবাই বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে দিশেহারা। প্রচন্ড এই গরমে অনেক খামারে মুরগী মরতে শুরু করেছে। গত তিনদিনে আমার খামারে দশটি মুরগি মারা গেছে। এভাবে লোডশেডিং থাকলে মৃত্যু আরো বাড়তে থাকবে।
ফেসবুকে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্তকারী আমজাদ হোসেন সবুজ বলেন, সরকার সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল বিদ্যুৎ অফিসে থেকে সরকারের ভাবমূর্তী বিনষ্ঠ করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তা নাহলে রমজান মাসে কেন এত লোডশেডিং থাকবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কিশোরগঞ্জ-১-এর পাকুন্দিয়া জোনাল অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক(ডিজিএম) মোঃ শহীদুল আলম বলেন, এ উপজেলায় গড়ে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু এর বিপরীতে গত এক সপ্তাহ ধরে বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে প্রতিদিন গড়ে চার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এ কারণে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। মূলত গ্যাস সংকটের কারণে অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চালু করা যাচ্ছে না। ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জোড় চেষ্ঠা চলছে। আশা করছি খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।