স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন বলেছেন আমি আল্লাহর দয়ায় দ্বীতিয়বারের মতো এমপি হয়েছি। কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ার পরিবর্তন করতে আসছি। উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে দিকেও কাজ করবো। যে কোন কিছুর বিনিময়ে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি জিরো টলারেন্স আনতে হবে। তা না হলে আমাদের আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারবো না। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমি অঙ্গিকারবদ্ধ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সোহরাব উদ্দিন আরও বলেন, কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে যে যানযটের সৃষ্টি হয় তা দূর করতে হবে। এখানে সকলে মিলে কাজ করতে হবে। এই বাসস্ট্যান্ড ও মহাসড়কে যারা সিএনজি চালায় তারা আমার পক্ষে কাজ করেছে। অটোচালক ও সিএনজি চালকদের কাছ থেকে স্ট্যান্ড ও মহাসড়কে অনেকেই চাঁদাবাজি করে। যেখানে প্রতিদিন, সপ্তাহে ও মাসিক অনুযায়ী চাঁদা তোলা হয়। আজকের পর থেকে এখানে কেউ চাঁদাবাজি করতে পারবে না। এখানে আমার ছেলেও যদি চাঁদাবাজি করে তাকে আপনারা ছাড়বেন না। একটি টাকাও কেউ চাঁদা দেবেন না। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। চাঁদার টাকা গুলো কিন্তু আমাদের মতো সাধারণ জনগণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে ড্রাইভাররা নিয়ে থাকেন। আমি পাকুন্দিয়া উপজেলায়ও রোববার সকল সিএনজি ও অটোচালকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আজকের পর থেকে অবৈধ কোন বালু ব্যবসায়ী কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া আসনে ব্যবসা করতে পারবেন না। তারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে। এতে করে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি নদী ভাঙনের কবলে পড়ছে সাধারণ মানুষ। নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ধরে ধরে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে এমপি সোহরাব উদ্দিন বলেন, কটিয়াদিতে জুয়া খেলা যেন না হয় সেটা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে। কোন জুয়াখোরদের স্থান দেওয়া যাবে না। একসময় কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ায় জুয়া খেলার হিরিক ছিল। ২০১৪ সালে আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর সব বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরবর্তিতে গত ৫ বছরে তা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এগুলো নির্মূল করতে হবে।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ মুশতাকুর রহমান, পৌর মেয়র মোঃ শওকত উসমান, কটিয়াদি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দাউদসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।