আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
বয়সের ভারে শরীরটা ন্যুব্জ হয়ে পড়েছে। চলাচলের ক্ষমতাও নেই। এমনি চোখে যা একটু দেখা যায়, সেটাও অস্পষ্ট। তারপরও ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছেলে কাঞ্চন মিয়ার কোলে চড়ে ভোট দিতে কেন্দ্র এসেছিলেন ১০৩ বছর বয়সি বৃদ্ধা নূরজাহান।
আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর চরপলাশ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দেন তিনি।
চরপলাশ গ্রাম থেকে রিকসায় করে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আসেন তিনি। এরপর সেখান থেকে ছেলের কোলে চড়ে ভোট কক্ষে যান। তার অবস্থা দেখে কেন্দ্রে দায়িরত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেন।
বৃদ্ধা নূরজাহান বলেন, জীবনের শেষ সময়ে এসে ছেলের কোলে চড়ে মেশিনে ভোট দিলাম। আর ভোট দিবার পারমু কিনা আল্লাহই ভালো জানেন। শরীলডা আর চলে না। খুব কষ্ট কইরা ভোটটা দিলাম।
ছেলে কাঞ্চন মিয়া বলেন, বাড়িতে গিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা জোরাজুরি করেছিলেন। মাকে নিয়ে যেন ভোট দিয়ে আসি। তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। রিকসায় বসেও মাকে কোলে করে বাড়ি থেকে গেইট পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। এরপর কোলে করে ভোট কক্ষে গিয়ে ভোট দিয়ে দিলাম।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে চন্ডিপাশা ইউনিয়নে ৭৮নম্বর চন্ডিপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা আহম্মেদ আলী। তিনি প্যারালিসিস রোগে আক্রান্ত। নাতী বায়োজিদ ও মোজাম্মেলের কোলে চড়ে আসেন ভোট কেন্দ্রে।
আহাম্মেদ আলী বলেন, আমি প্যারালাইসিসিসের রোগী। হাটতে পারি না। তাই দুই নাতী কোলে কইরা ভোট দিতে লইয়া আইছে। মেশিনে ভোটটা দিতে পেরে ভালই লাগছে। আর ভোট দিতে পারি কিনা আল্লাহই ভালো জানেন।