স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ইটভাটা শ্রমিক বিলকিস বেগম (৪০) কে হত্যার দায়ে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাতে নিহতের ছেলে মাসুম মিয়া বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম সিদ্দিকী জানান, বিলকিস বেগম হত্যা মামলায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গুনধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লি গ্রামের মৃত মসরব আলীর ছেলে সুজন মিয়া ও তার ভাই নূর আলমসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ গুনধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লি গ্রামে রোববার (০৬ আগষ্ট) দুপুরে পাওনা টাকার জন্য ঘর থেকে ধরে এনে প্রকাশ্য রাস্তায় ওই নারীকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে আওয়ামী লীগ নেতা নূর আলম ও তার ভাই সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে।
নিহত বিলকিস আক্তার ইটভাটা শ্রমিক আব্দুল করিমের স্ত্রী এবং গ্রামের মৃত মুর্শিদ মিয়ার মেয়ে। তার পরিবারের সবাই একটি ইটভাটায় কাজ করত। ইটখলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসেন। আওয়ামী লীগ নেতা নূরে আলম ও তার ভাই সুজন মিয়া বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক সরবরাহ করেন। বিলকিস বেগমের স্বামী আব্দুল করিম গত বছর সুজনের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দাদন নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা পরিশোধও করেন তিনি। বাকি ৬০হাজার টাকা তারা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এই টাকার জন্য রবিবার দুপুরে নূরে আলম বিলকিসের বাড়িতে যান। তখন বিলকিসের স্বামী আব্দুল করিম বাড়ি ছিলেন না। পাওনা টাকা নিয়ে বিলকিসের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নূরে আলম ক্ষিপ্ত হয়ে বিলকিস আক্তারকে ঘর থেকে বের করে রাস্তায় নিয়ে পিটিয়ে আহত করে। মারপিটে ওই নারী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।