স্টাফ রিপোর্টারঃ
চলাচলের ভয় রয়েই গেলো। আগে মনে করতাম বাসে গেলে সমস্যা এখন ট্রেনে গেলেও সমস্যা। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জে ভৈরবের ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল জগন্নাথপুরে এসব কথা বলছিলেন মোঃ মিল্লাত।
তিনি জানান, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলায় তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ট্রেনেই যাতায়াত করেন। গতকালকের ঘটনার পর থেকে তার মনে ভয় কাজ করছে। ট্রেন দুর্ঘটনার সময় তিনি স্টেশনেই ছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। গিয়ে দেখেন অবস্থা ভয়াবহ।
মোঃ মিল্লাত আরও জানান, এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা আগে কখনও দেখেনি তিনি। ঘটনার পরের ঘটনা ছিল আরও ভয়াবহ। চারদিক শুধু মানুষের আহাজারি। কাকে রেখে কাকে উদ্ধার করবে মানুষ। প্রথমে স্থানীয় এলাকাবাসী উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিজিবিও অংশ নেয় উদ্ধার অভিযানে।
জানা গেছে, সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ভৈরব জংশনের কাছাকাছি জগন্নাথপুর এলাকায় কিশোরগঞ্জ এগারসিন্দুর গোধূলি ও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়। নিহত ১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে একজনের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। আহতের বেশির ভাগই প্রথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। কয়জনকে ঢাকার পুঙ্গ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আখাউড়া থেকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিলিফ ট্রেন এসে দুর্ঘটনা কবলিত এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলির ২টি বগি উদ্ধার করে। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
