মাই ২৪ বিডি আইটি ডেস্ক রিপোর্টঃ
ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর কোনও একক ব্যক্তি বা দলের ভিশন নয় মন্তব্য করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এই ভিশন (রূপকল্প) এখন দেশের ১৭ কোটি মানুষের ভিশনে পরিণত হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি কথা বলেন।
আগামী ১২ ডিসেম্বর চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কে গণমাধ্যমগুলোকে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
পলক বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন বা রূপকল্প আমাদের সামনে রাখেন। সে বছরের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে জয়ের পর সেটি আর শুধু কোনও একক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের রূপকল্প ছিল না, পুরো সরকারের রূপকল্পে পরিণত হয়। আর এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু স্বপ্ন বা রূপকল্পে সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরো দেশের।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৯ বছর। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশকে নেতৃত্ব দিতে পেরেছে মাত্র ২০ বছর। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ উদীয়মান শক্তিশালী অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। একটি দেশ সুযোগ্য নেতৃত্বে কতটুকু এগিয়ে যেতে পারে তার প্রমাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবার নেতৃত্বের কারণে কতটুকু পিছিয়ে যেতে পারে সেটির উদাহরণ ৭৫ পরবর্তী সময়। এই করোনার মাঝে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সরকারের কোনও কাজ থেমে থাকেনি। ১০ লক্ষাধিক ই-ফাইল এই সময়ে আমরা সম্পাদন করেছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ আয়োজন নিয়ে পলক বলেন, এবার করোনার কারণে অনলাইন অফলাইন আয়োজন মিলিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ডিজিটাল বাংলাদেশ উদযাপন করছি আমরা। বাংলা ও ইংরেজিতে দুটি ওয়েবিনার, দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক রচনা, উপস্থিত বক্তৃতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সভা সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ সহ বিভিন্ন আয়োজন থাকছে। এছাড়াও বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে অনলাইন কুইজ। কুইজে বিজয়ীদের উন্নত মানের ল্যাপটপ ও মোবাইলের মতো ডিভাইস পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১২ ডিসেম্বর রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ১২ বছর নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হবে। এতে কি-নোট স্পিকার হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ডিজিটাল দিবসের পুরস্কার বিতরণী এবং মূল অনুষ্ঠান ভিডিও বার্তার মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।