স্টাফ রিপোর্টারঃ
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এক ও অভিন্ন সার্ভিস কোড প্রদান এবং সকল অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করণের দাবিতে অনিদিষ্টকালের জন্য তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছে কিশোরগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার (৩ জুলাই) কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান পুলিশ লাইন্স এলাকার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন তারা।গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে অফিস চত্বরে দাড়িয়ে বিভিন্ন পোস্টার, লিফলেট ও প্লে-কার্ড নিয়ে দাবী আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। বিকেল পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচী। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি কর্মসূচী চলবে।
কর্ম বিরতিতে আরও বক্তব্য রাখেন,পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নান্দইল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ফজলে রাব্বি শামীম, কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিলিং সহকারী তাহমিনা আক্তার, জেলার পাকুন্দিয়া অফিসের মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার ইব্রাহীম হোসেন, কটিয়াদী অফিসের মনিরুল ইসলাম, লাইনম্যান গ্রেড-১ সারোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এমসয় বক্তারা বলেন, একই কাজ করেও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে কর্মকর্তা, কর্মচারীদের। পল্লী বিদ্যুতের মহিলাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটিও নেই। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে দাবি করেন বৈষম্য দূর করে ন্যায্য অধিকার দেওয়ার জন্য। অন্যথায় চলমান এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
পল্লী বিদুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনে ঝুকি নিয়ে দুনে গড়ে ১৫-২০ ঘন্টা কাজ করেন। কিন্তু তারপরেও বঞ্চিত রাখা হয়েছে ন্যায্য অধিকার থেকে। এমন বৈষম্য জরুরি ভিত্তিতে নিরসন করা দরকার। এ আন্দোলন করতে গিয়ে দুজন এজিএম শোকজ খেয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদুৎ সমিতির অধীনস্থ ৯০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারি একই দাবিতে আন্দোলন করছে। এরআগে ১ জুলাই একই দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারীরা।
 
					 
						
		 
				
								
										
			 
	
											 
	
											