স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদিতে অস্ত্র উঁচিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
এমন অভিযোগ এনে রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার লোহাজুড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট লায়ন মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ইকবাল (মোটরসাইকেল প্রতিক)।
ইকবাল বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় কাজিরমোড় দক্ষিন লোহাজুড়ি এলাকায় ৫নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন তিনি। এসময় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মুসা মারুয়া (আনারস প্রতীক) নেতৃত্বে তার সমর্থকরা বাজারের পাশে মিছিল থামিয়ে অতর্কিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমার লোকজন আহত হয়েছে। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মুসা মারুয়া আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আমার দিকে পিস্তল তাক করেছিল। তখন আমার অপরাধের কারণ জানতে চাইলে মুসা মারুয়া বলেন তোর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে হবে। নির্বাচন ছেড়ে দিতে হবে। তা না হলে তোকে মেরে ফেলব। তুই থাকলে আমরা পাশ করতে পারবো না। এখান থেকে আমাদের ২৭ বছরের রাজত্ব চলে যাবে।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে মুসা মারুয়া বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় এমন কোন ঘটনা ঘটে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেন তিনি।
কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, হামলার ব্যাপারে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, হামলার ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে শনিবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুজ্জামান ইকবাল ফোন করে বলেছিলেন তার উপর হামলা করা হয়েছে। এসময় কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠালে সেখানে গিয়ে তর্ক বিতর্কের বিষয়টি দেখতে পান।
আগামী ৯ মার্চ লোহাজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ৫জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। মোট ভোটার ১৮ হাজার ৯শত ৮৪জন।