নির্মাণের দুই বছরেই রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কে ভাঙন

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়ক। উদ্বোধনের পর দুই বছর যেতে না যেতেই হাওরবাসির বহুল প্রত্যাশিত ও আলোচিত পাকা সড়কটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে । সড়কটি জেলার হাওরঅধ্যুষিত নিকলী ও করিমগঞ্জ উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। নিকলী সদর থেকে করিমগঞ্জ মরিচখালী পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার লম্বা ও ২৪ ফিট প্রস্থ করা হয়েছে।

হাওর এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে জমি অধিগ্রহণ করে হাওরের ভিতর দিয়ে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০১৬ সালে ৭৫ কোটি ৬৯ লাখ ৩ হাজার ১৮২ টাকা ব্যয়ে ৪ বছরের মাথায় সড়কটি নির্মাণ করে সরকার। ২০২০ সালের শুরুর দিকে উদ্বোধনের পর দুই বছর না যেতেই সড়কের নিচ থেকে মাটি সড়ে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বর্ষায় হাওরের পানির ঢেউয়ে সড়কটি যেন ভেঙ্গে না যায় তার জন্য সড়কের দুই পাশে দেওয়া ব্লক গুলো সরে যাওয়ায় দৃষ্টিনন্দন এই সড়কটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কে গর্ত থাকার কারণে রাতের বেলায় মাঝে মাঝে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। সেই সাথে সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ডেবে গিয়ে উঁচু নিচুর সৃষ্টি হয়েছে অনেক আগেই। সড়কটি নির্মানের পর থেকে এখানকার মানুষ অল্প সময়, কম খরচে শহরের সাথে যেমন যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। বর্ষাকালে পর্যটকদেরও দৃষ্টিকারে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ ও নিকলী উপজেলা ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা লাখো মানুষের যাতায়াত হয়। স্থানীয়রা বলছেন সড়কটি নির্মানে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হলেও বর্তমানে এই বেহাল দশা সরকারের এই উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এখনই মেরামত করা না হলে আগামী বর্ষায় পানির ঢেউয়ে সড়কটি বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, হাওরে বন্যার কারণে সড়কটির এই বেহাল দশা। ইতিমধ্যে সড়কটি সংস্কারে ২৪ লাখ টাকার বাজেট করে মন্ত্রাণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

Share.