স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাড়িঘরে বখাটেদের হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৪ মে) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নে পশ্চিম কুমারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা পাকুন্দিয়া থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আমার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে মঙ্গলবাড়ীয়া মহিলা মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। সে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের রিপন মিয়ার ছেলে মো. নিরব (১৯) প্রায়ই উত্যক্ত করে। এ বিষয়টি আমার মেয়ে মাদ্রসার সুপার মাওলানা মো. গোলাম রাব্বানীকে জানায়। তখন মাদ্রসার সুপার বিবাদীকে ডেকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। এরই জের ধরে শুক্রবার (২৪ মে) বিকাল অনুমানিক ৫টা ২০ মিনিটে মো. নিরবের নেতৃত্বে নাজিম উদ্দিন (২০), রবিন মিয়া (১৯), রোমান মিয়া (১৯), মোঃ বাবু মিয়া (১৮), তারেক মিয়া (১৯), পায়েল মিয়া (১৮), সাজিত (১৭), ইমন মিয়া (১৭), অন্তর মিয়া (১৯), সিজান (১৭), রাকিব মিয়া (১৭) সহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জন রামদা, লোহার রড, লাঠিসোটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র মিয়ে বসত বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে।
ওই ছাত্রীর বাবা মো. আক্কাছ আলী জানান, বাড়ি ঘরে হামলায় আমার আনুমানিক ৭০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়। ঘরে রাখা নগদ ৩ লাখ ৭ হাজার টাকা, একটি এন্ড্রয়েট রেডমি নোট-৮ মোবাইল ও ১ভরি ওজেনর স্বর্ণের চেইন লুঠে নিয়ে যায়। এসময় আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে খুনের হুমকি দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবাড়ীয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. গোলাম রাব্বানী জানান, আমার মাদ্রাসার অনেক ছাত্রীকে আসা-যাওয়ার পথে বখাটেরা উত্ত্যক্ত করতো। এই ঘটনার বিচার চাওয়ায় বখাটেদের দল এক ছাত্রীর বাড়িঘরে হামলা করেছে। আমি শিক্ষক হিসাবে ওই বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু লিখিত অভিযোগ পাওয়ার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।